
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ডাকা বিক্ষোভ-মিছিল প্রতিরোধে গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের কাউকে দেখলে তাদের পুলিশের তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (৯ নভেম্বর) পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম ও সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিনুল হক ও সদস্যসচিব মো. মোস্তফা জামান।
এই কর্মসূচির উত্তরে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে করা পোস্টে রোববার (১০ নভেম্বর) গণজমায়েতের ডাক দিয়ে লিখেছেন, ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েত’।
এরপর আজ দুপুর ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। প্রথমেই সবার উদ্দেশে হাসনাত বলেন, আজ হবে আপা নিধন কর্মসূচি।দীর্ঘ এক যুগ থেকে বার বার বলা হতো, ‘দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইও না’। যারা একথা বলতেন তাদের বলছি, আপনারা দয়া করে দেখা দেন প্লিজ! কারণ, আপনাদের দেখার জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। আপনাদের আমরা একটু দেখতে চাই। মূলত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আপা’ সম্বোধন করেন হাসনাত।
তিনি আরও বলেন, আপার বাহিনী যারা বিদেশে বসে নিজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, তারা অন্তত ১টা মিনিটের জন্য হলেও দেখা দিয়েন। দেশের মানুষ আপার বাহিনীর লোকজনকে একটু দেখতে চায়, সামনাসামনি কথা বলতে চায়। আওয়ামী লীগের সদস্যদের তিরস্কার করে হাসনাত বলেন, দেখেন! এতো সহজ না। বিদেশের মাটিতে বসে পরিকল্পনা করা সহজ। কিন্তু যারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে গণঅভ্যুত্থানে এসেছিল, তারা আপার প্রতিষ্ঠিত বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেছে।
হাসনাত প্রশ্ন করেন, রাস্তায় এসে কাদের ভয় দেখান? ছাত্ররা সব ধরনের প্রতিষ্ঠিত বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছে, কথা বলেছে। যারা আপার বাহিনীদের উৎখাত করেছে, তারা কেন পালিয়ে যাবে? তিনি মশকরা করে বলেন, ছাত্রলীগ কিংবা মুজিববাদের যারা রয়েছে, তারা মূর্খ। পড়াশোনার সাথে তাদের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমেন্ট করার ক্ষেত্রে তাদের কোন যোগ্যতা নেই। একটা কমেন্ট সবাই না বুঝে কপি-পেস্ট করছে।
