বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবিতে দেশজুড়ে চলছে অসহযোগ আন্দোলন। এর এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের হামলা-ভাঙচুর এবং পুলিশের অ্যাকশনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গাইবান্ধা। এতে ১৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগষ্ট) সকাল ১১টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে গাইবান্ধা পৌর পার্কে জমায়েত হন। পরে তা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে আবারও পৌর পার্কে ফিরে আসে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা অফিস খোলা থাকায় গাইবান্ধা পৌরসভা কার্যালয়, পৌরসভার একটি ট্রাক এবং সামনে রাখা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
পরে পৌর পার্ক থেকে মিছিলটি আবারও ডিসি অফিসের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে সেখানেই বিক্ষোভ করতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে তারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ইটপাটকেল ছোড়েন। সেখানে ভাঙচুর করার চেষ্টা করলে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ১৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
এদিকে দুপুরে আন্দোলনের মিছিল থেকে হামলা ও ইটপাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর করা হয়েছে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্লাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাধরণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির বাসা, পলাশবাড়ি পৌর মেয়রের কার্যালয় ও বাসা এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। অবরোধ করা হয়েছে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভাংচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ প্রথমে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’