আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে রোববার (৩১ আগস্ট) শক্তিশালী ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভূমিকম্পে ‘শত শত মানুষ মারা গেছে’ এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। খবর বিবিসির।
হেলিকপ্টারে মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তালেবান কর্মকর্তারা।
এক তালেবান নেতা বলেন, একটি গ্রামে ২১ জন মারা গেছে এবং ৩৫ জন আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখনও প্রদেশের অনেক জেলায় আফটারশক অনুভূত হচ্ছে। কুনার প্রদেশের আরেক কর্মকর্তা বলছেন, ‘মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ’।
তবে এই পর্যায়ে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো দুর্গম এবং পৌঁছানো কঠিন হওয়ায় কেউ সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারছে না। কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও কাজ করছে না এবং অন্য অংশে ভূমিধস এবং বন্যার কারণে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আফগানিস্তান ভূমিকম্প প্রবণ হওয়ার কারণে সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এটি এমন বেশ কয়েকটি ফল্ট লাইনের ওপরে অবস্থিত যেখানে ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে। ২০২২ সালে পূর্ব আফগানিস্তানে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ নিহত এবং আরও তিন হাজার মানুষ আহত হয়। গত দুই দশকের মধ্যে দেশটিতে এটাই ছিল সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয়। ভূমিকম্পটি মাঝারি মাত্রার ছিল কিন্তু এতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে রোববার দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর থেকে অন্তত আরও তিনবার আফটার শক অনুভূত হয়েছে। সেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বেশ কয়েক সেকেন্ড ধরে কম্পন টের পাওয়া গেছে। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।