
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ ইং আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি মধ্য রাতে-ই কার্যকর হবে। সে লক্ষ্যে কারা কর্তৃপক্ষ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন। এমনটি জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীর ফাঁসির পরে তার লাশ যেনো দাফন করতে ভোলা জেলায় না পাঠানো হয় সেই আহ্বান জানিয়েছেন তেতুলিয়া পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ মাসুম।
তিনি বলেন, তাঁর মত জঘন্য ব্যক্তিকে ভোলার মাটিতে দাফন করা হলে এই ভোলা কলঙ্কিত হবে। তাকে ফাঁসি দিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার আমরা স্বাগত জানাই তবে তার লাশ ভোলায় দাফন করা হলে ভোলা জেলার মানুষ চিরদিন কলঙ্কিত থেকে যাবে।
ভোলার মানুষের পক্ষ থেকে তেতুলিয়া পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ মাসুম প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানান। তিনি বলেন, আমার বাড়ীও ভোলা জেলার সদর থানাধীন ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাটে। ভোলায় এই খুনির লাশ দাফন করা হলে পরবর্তী প্রজন্ম এই কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্য শুরু করলে তিনি আটক হওয়ার ভয়ে আত্মগোপন করেন।
গত (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার সময় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে আটক করেন।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
গ্রেফতারকৃত আব্দুল মাজেদ চার কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সালেহা বেগম বর্তমানে বাড়ি ১০/এ, রোড-১, ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকা ঢাকা সেনানিবাসে বসবাস করছেন।
