নিজস্ব প্রতিবেদক: গুলশান-বনানীতে হোটেলে নারী ও মাদক সাপ্লাই দিয়ে শিলা বেগম (২৮) লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন। প্রতিদিনের খাবার খেতে যে হিমশিম খেত সে কিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হলো এলাকাবাসীর এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে। গুলশান বনানীতে ফ্লাট ও হোটেল ব্যবসায় করে শিলা এখন লাখ টাকার মালিক হয়েছেন এমন অভিযোগ করেছেন শিলার বসবাসরত এলাকার বেশ কিছু মানুষ।

শিলা বেগম থাকেন মহাখালী বনানী থানাধীন টিএন্ডটি এলাকার একটি বস্তিতে।

জানা গেছে, তিনি প্রায় আট -দশ বছর ধরে এ এলাকায় বসবাস করেন। হঠাৎ করে তার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। সামাজিকভাবে রাজনৈতিকভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে। এজন্য এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন কিভাবে তার এই পরিবর্তন? এটা নিয়ে তিনি এ এলাকার নানান আলোচনা-সমালোচনা শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আলমগীর নামের এক ব্যক্তি বলেন, শিলা এক সময় দোকানদারী করতো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজকর্ম করত কিন্তু হঠাৎ করে দু-এক বছরের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে সে অনেক টাকার মালিক হয়ে ও উঠেছে। বস্তিতে থেকে এত টাকার মালিক এটা স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না বস্তিবাসী।

বাবুল নামের এক ব্যক্তি জানান, শিলা গুলশান-বনানীর বিভিন্ন এলাকায় ইয়ং মেয়েদের দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা করান। তিনি বলেন, তাছাড়া বেশ কয়েকটি হোটেলের নাম জানেন তিনি কিন্তু এই মুহূর্তেই এগুলো সেবলতে চান না।

পারভীনা নামের এক নারী বলেন, শিলা বনানীতে বাবুর্চি কাজ করেন। পাশাপাশি আর কি করে সেটা আমার জানা নেই। তবে নারী দিয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম করাতে পারে এটা আমার মনে হয় না?

আজগর আলী নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, শিলা অনেকদিন ধরে গুলশান-বনানীতে বাবুর্চির কাজ করে পাশাপাশি অন্য কিছু করে কিনা আমি জানিনা। তবে এলাকার কিছু মানুষ তার বিরুদ্ধে বলে বেড়াচ্ছে সে গুলশান-বনানীতে এবং এ এলাকার বিভিন্ন ফ্লাটে ফ্লাটে দেহব্যবসা করান। তিনি বলেন তাঁর বিরুদ্ধে নারী দিয়ে দেহব্যবসা করানোও মাদকের যোগাযোগ সেটা সত্য হতে পারে অসম্ভব কিছু না। কারণ হল সে দু এক বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। যার স্বামী নেই। নিজের চলাফেরা করতে যার কষ্ট হতো? সে কিভাবে হঠাৎ করে আর্থিকভাবে এতটাই পরিবর্তন হতে পারে?

লাবনী নামের এক নারী বলেন, হঠাৎ শিলা বেগমের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে শারীরিক গঠন এবং অর্থনৈতিকভাবে। আগে সে এমন ছিলনা। সে গুলশান-বনানীতে ফ্লাটে ফ্লাটে মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করান কিনা সেটা আমি জানিনা। তবে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এটার পিছনে এগুলো থাকতে পারে না ও পারে।

সূত্রে জানা যায়, শিলা বেগম এ পর্যন্ত ১০ জন স্বামী রদবদল করেছেন এবং সম্প্রতি তিনি বস্তিতে সেলিমের বাড়ির সহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্রয় করেছেন। তার ওই ক্রয় কৃত বাড়িটিতে একজন নামধারী স্বামী নিয়ে বসবাস করেন তিনি। তার চরিত্র অনেকটা রহস্যময়।

জানতে চাইলে শিলা বেগম বলেন, আমি গুলশান-বনানীতে বাবুর্চি কাজ করি আমি কোন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নয়। একটি মহল আমাকে বিভিন্ন অপকর্মে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

আপনি দশজন স্বামী বদল করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব মিথ্যা কথা আমার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে আমার সন্তান নিয়ে আমি এখানে চলে এসেছি।

আপনি কি কাজ করেন গুলশান বনানীতে এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ তিনি। এক পর্যায়ে তিনি বলেছেন, আমি বাবুর্চির কাজ করি পাশাপাশি অন্যান্য কাজও করি প্রথমে তিনি পরিচয় দিতে নারাজ ছিলেন?

আপনি হঠাৎ করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন কিভাবে ? আপনি কি করেন? এমন অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে করা হয়েছে এটা কি সঠিক এমন প্রশ্নের জবাবে শিলা বেগম বলেন, এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে এগুলো মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

জানতে চাইলে বনানী থানার ওসি নুরে আজম বলেন, শিলা নামের কোন নারীকে আমি চিনি না তবে তার বিরুদ্ধে আমাদের থানায় কোন অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, আপনি বলেছেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

তদন্ত চিত্র/আইভি