অনলাইন ডেস্কঃ রাজধানীতে হঠাৎ নিত্যনতুন কিশোর গ্যাং বেপরোয়া। লাগামহীন ভাবে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কখনো ছাত্রলীগ পরিচয়, কখনো যুবলীগ, কখনো ঢাকা মহানগর নেতাদের প্রিয়জন। নিজের মতই সুন্দর ভাবে রূপ পাল্টাতে পারে মাদক ও নারী সাপ্লায়ার জুয়েল। বহুরূপী মানুষ তাই এলাকার লোক তার নাম দিয়েছেন সুন্দরী জুয়েল। নারী কেলেঙ্কারি থেকে বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

কিশোর গ্যাং নিয়ে তার চলাফেরা সকল অপরাধীদের সাথে তার রয়েছে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। নারী কেলেঙ্কারি সহ ছিনতাই, ঠকবাজি, রাহাজানি, দখল, ভূমিদস্যুতা নানা অপকর্মে তারা জড়িয়ে পড়ছেন জুয়েল নামের এই ভয়ঙ্কর যুবক। কখনও ফেসবুকে, কখনো বাসাবাড়িতে, কখনো ম্যাসেঞ্জারের, বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে জুয়েল চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে। সুন্দরী জুয়েল ওরফে সিসা জুয়েল নামে পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী জুয়েল।

জুয়েলের রয়েছেন অর্ধশতাধিক অস্ত্রধারী বাহিনী। দলবেঁধে এলাকা ভিত্তিক আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাখে সর্বদা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও তার কাছে বড় অসহায়। বনানী প্রেসক্লাব সভাপতি কাওসার আহমেদ চৌধুরী ও সাংবাদিক স্বাধীন কে মেসেঞ্জারে লিখে বলেন অনেক সাংবাদিক গুম হয়ে গেছে কেউ ফেরত আসেননি। তোমারও তাই হবে স্বাধীন। এবং স্বাধীন ভাইয়া তোমার লাশটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। ডিজিটাল যুগে মেসেঞ্জারে হুমকি দেওয়া সত্যিই বুকের পাটা আছে বটে। এভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেন জুয়েল ও তার বাহিনী।

জুয়েল বাহিনীর বিরুদ্ধে কয়েকটি থানায় জিডিও রয়েছে। নবগঠিত বনানী প্রেসক্লাবের সভাপতি কাউসার আহমেদ বিজয় চৌধুরীর গুলশান অফিসে দুর্বৃত্তদের হামলা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে স্টাফদের কে গালিগালাজ করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দেয় সিসা কারবারি জুয়েল ও তার বাহিনী। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেন।

গত ১৭ই জানুয়ারি রোজ (রবিবার ) বিকাল ছয় ঘটিকায় গুলশান _১ ,২ নং রোডে অবস্থিত বনানী প্রেসক্লাবের সভাপতি কাওসার আহমেদ বিজয় চৌধুরীর ব্যবসায়িক অফিসে সিসা জুয়েল এর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন যুবক তার ব্যাবসায়িক অফিসে ঢোকার চেষ্টা কালে, অফিসের দারোয়ান ঢুকতে বাধা দিলে অফিসে ঢুকতে না পেরে বখাটে যুবক এরা একপর্যায়ে বিজয় চৌধুরী কে উদ্দেশ্য করে গালমন্দও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে৷

উক্ত বিষয়ে কাওসার আহমেদ চৌধুরী গুলশান থানায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, ডায়েরি নং ১২৪২ তারিখ ১৯/০১/২১ইং ৷ উক্ত বিষয়ে সাধারণ ডায়েরির তদন্তকারী অফিসার এসআই জাকির হোসেন আমাদের প্রতিবেদককে জানান বিষয়টি আমার জানা ছিলনা আমি কিছুক্ষণ আগে ডিউটি শুরু করেছি তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, প্রেসক্লাবের অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা এবং উক্ত আসামীদেরকে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করার জোর দাবি জানানো হয়।