সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে উদয়ন এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনে এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর ভুক্তভোগী তরুণীকে পাঠানো হয়েছে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে।
মঙ্গলবার রাতে সিলেটের ভাইয়ের বাসা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবানে নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে বসেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। আসন না পেয়ে সে খাবার বগিতে বসে ভ্রমন করছিল। রেল পুলিশ জানিয়েছে, এ সময় ভোর রাতে লাকসাম এলাকায় এলে খাবার বগিতে থাকা ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তিনকর্মী তাঁকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত তিন তরুণের নাম শরীফ, জামাল এবং রাশেদুল। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণী ট্রেনে থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের ঘটনা জানালে অভিযুক্ত তিনজনকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ। চট্টগ্রাম রেল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম শহীদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেছে। ভুক্তভোগী তরুণী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার পর ট্রেনটির পরিচালক আব্দুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পূর্বাঞ্চল রেল। পাশাপাশি এই ঘটনায় কারও গাফেলতি ছিল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের রেল পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী।
বুধবার (২৬ জুন) ভোর সাড়ে চারটায় এ ঘটনা ঘটে। চলন্ত ট্রেনটি ওই সময় লাকসাম এলাকা পার হচ্ছিল। ভোরে এই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় সন্ধ্যার পর। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। চট্টগ্রাম পৌঁছায় সকাল ৮টায়। সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্ত:নগর ট্রেনটি রাত সাড়ে দশটায় ছেড়ে সকাল আটটায় চট্টগ্রাম পৌঁছায়।