১৫ লাখ টাকার একটি ছাগলকাণ্ডে’ উঠে এসেছে মুশফিকুর রহমান ইফাতের নাম। দিনব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ছাগল, ইফাত ও একজন রাজস্ব কর্মকর্তা। হঠাৎই চাউড় হয়, ইফাত নাকি ওই রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলে। যদিও তা অস্বীকার করেছেন কর্মকর্তা। আর গণমাধ্যমের একটি অডিও সাক্ষাৎকারে ইফাতের দাবি, ‘মার্কেটিংয়ের ফাঁদে’ পড়েছেন তিনি
১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে চাওয়া বা লাখ টাকা অ্যাডভান্স দিয়ে ছাগল ঘরে না আনা আলোচিত ইফাত নাকি পাখি পুষতে পছন্দ করেন। একথা গণমাধ্যমে দাবি করেছেন ইফাত নিজেই। ওই সাক্ষাৎকারে নিজের বয়স ১৯ উল্লেখ করে ইফাত দাবি করেন, সাদিক এগ্রোতে তিনি ঘুরতে গিয়েছিলেন। যেহেতু তিনি পশুপাখি পছন্দ করেন, তিনি ঘুরে দেখছিলেন। এই এগ্রোর মালিক ইমরানের সঙ্গে পাখি পালন নিয়ে তিনি আগেও কথা বলেছেন। তার (ইমরান) সঙ্গে ইফাতের আগেই পরিচয় ছিল। এমনকি, ইফাতের বিভিন্ন ইভেন্টে তিনি প্রধান অতিথি থাকেন। ইফাত আরও দাবি করেন, যেহেতু আমি কিনছি না, সেহেতু ইমরানের উপকার হলে তার কোনো অসুবিধা হবে না। এজন্য তিনি তার (ইমরান) কথা অনুযায়ী ছাগলের সঙ্গে ছবি তুলে বলেন যে, তিনি খাসিটি কিনছেন।
ইফাত বলেন, ‘খাসিটি কিন্তু আমার কেনা হয়নি, আমার বাসায়ও আনা হয়নি এবং খাসিটা আমার কোরবানিও দেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে আমি জানতে পেরেছি, খাসিটি এখনও সাদিক এগ্রোতে আছে। এটি নিয়ে আমার ফ্যামিলিতে অনেক কথাবার্তা হয়। এমনকি, আমার কারণে আমার ফ্যামিলিকে ছোট হতে হয়।’ ইমরানের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে ইফাত বলেন, তিনি ২০১৭ সাল থেকে পাখি পালন করেন। পাখির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইমরানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। ইফাতের দাবি, তিনি পাখি পালনের বিভিন্ন বিষয়ে সাত-সাতবার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
এদিকে বিবিসিতে এক সাক্ষাৎকারে সাদিক এগ্রোর ইমরান হোসেন বলেন, ‘ওই ছেলেটা ছাগলটা ডেলিভারি নেয়নি। এক লাখ টাকা অ্যাডভান্স দিয়ে বুক করেছিল। এ মাসের ১২ তারিখে বাকি টাকা পরিশোধ করে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এরপর আমরা যোগাযোগ করতে পারিনি, কারণ ওকে আর খুঁজে পাইনি।’