নিজস্ব প্রতিবেদকঃ র্যাব ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গুম বা ক্রসফায়ার করে হত্যার হুমকি দেওয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক মানবাধিকারকর্মী নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগি মানবাধিকারকর্মী আলমগীর পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও ২৪ ক্রাইম নিউজ মিডিয়া লিঃ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেলথ ফাউন্ডেশন (মানবাধিকার সংস্থা) এর মহাসচিব।
ব্যবসার কাজের ফাঁকে বিভিন্ন সময়ে তিনি দেশ ও জনস্বার্থে মানবাধিকার সংস্থাটির পক্ষে মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ অপরাধ তথ্য সংগ্রহ করে তা নিমূর্লের লক্ষ্যে জনস্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় সহ র্যাব ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তথ্য প্রমানাধি সহ লিখিত আবেদন বা অভিযোগ পত্র প্রদান করে আসছেন।
আবেদনে আলমগীর উল্লেখ করেন, পুলিশ ও আনসার বাহিনী হতে আসা কিছু র্যাব সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক অপ-প্রভাব বিস্তার করে। অবৈধ অর্থ উপার্জন করে রাতারাতি তারা ধনী হওয়ার লালসায় স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অপরাধীদের সাথে গোপনে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। গোপনে তাদের কিছু অংশ নিজেরা বা সোর্সের মাধ্যমে অপরাধীদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অভিযানের তথ্য পৌছে দিয়ে বাড়তি সুবিধা ভোগ করেন। এতে করে গোটা র্যাব কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির সদস্যগণের সৎ দায়িত্বশীল গোটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এসকল অসাধু র্যাব সদস্যদের সুবিধা দেওয়া অপরাধ ও সংঘটিত স্থান বা দাগী দোষী অপরাধীদের তথ্য ও প্রমাণ উৎঘাটন করে তাহা নির্মূলের ক্ষেত্রে আলমগির তার সংস্থার পক্ষে স্বেচ্ছাসেবী কর্মীগণ এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অভিযোগ,আবেদন,আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হলে তা কোনভাবে জানতে পারলে অসাধু আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক ক্ষতি সাধন সহ হয়রানির অপচেষ্টা করে থাকে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ অক্টোবর সকালে আলমগিরের ব্যবহৃত মোবাইলে অজ্ঞাত নামা এক ব্যক্তি তাকে নানা ধরণের ভয়-ভীতি দেখানো সহ হুমকি প্রদান করে। এরপর তিনি যাত্রাবড়ি থানা এলাকার কুতুবখালী খালপাড় যাওয়া মাত্র গতিরোধ করে সাজ্জাদ, কবির (মিরাজ) জসিমসহ আরো দুইজন র্যাব-১০ ধলপুর ক্যাম্পের সিপিসি -১ এর এএসপি সাইফুল ও র্যাব সদস্য আনিস,ও হাসিব এর সোর্স পরিচয় দিয়ে র্যাব ১০ এর ধলপুর ক্যাম্পের র্যাব সদস্য আনিস এর নাম ভাঙিয়ে অপহরন করে তুলে নিয়ে লাশ গুম করে ফেলাসহ বা অবৈধ দ্রব্যাদি দিয়ে বিভিন্ন একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে ক্রস ফায়ার করবে বলে ভয় দেখায়। হুমকিদাতারা আলমগিরকে বলেন, আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসা, ও সরকার অনুমোদন বিহীন মিনি পতিতালয় এবং ওয়াইজঘাট সাউথ সিটি মার্কেটের আন্ডার গ্রাউন্ডে নারী পাচারকারী গর্ডফাদার পাপনের জুয়া ও মাদক স্পট এর বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ প্রতিবেদন না করেন।
আবেদনে আলমগির আরও উল্লেখ করেন জসিম ও মিরাজ সাজ্জাদগংরা ধমক দিয়ে তাকে বলেন র্যাব-১০ এর সংশ্লিষ্ট এলাকা হতে এ সকল অপরাধীদের আস্তানা হতে সাইফুল, হাসিব ও আনিসদের সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ টাকা তারা উত্তোলন করে দেই।
এছাড়াও নারী পাচারকারীদের যত ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিবি আর সংস্থা থেকে আইনী সহায়তার মাধ্যমে যত মামলা হয়েছে তাহা আদালত থেকে তুলে নেয়া এবং বিচারাধীন মামলার স্বাক্ষীদিতে আদালতে না জেতেও হুমিকি দেন তারা। পূর্বেও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন আলমগির।