রাজধানীতে রাত জেগে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থী ও তরুণরা। যা পুলিশহীন এই শহরে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে জনজীবনে। কিছু বিষয়ে সামান্য ভোগান্তি হলেও, হাসিমুখে মেনে নিচ্ছেন সবাই। এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভর করেছে ডাকাত আতঙ্ক। সন্দেহজনক গতিবিধির কাউকে দেখলেই আটক করছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্যরাত। রাজধানীর মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ মোড়ে লাঠি হাতে কিছু তরুণ-যুবককে দেখা যায়। এ পথ যারা যেভাবেই আসছেন, সবাইকে থামিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে পরিচয়, গন্তব্য। চলছে তল্লাশি। পুলিশহীন এই শহরে রাত জেগে শিক্ষার্থী ও তরুণদের এই স্বেচ্ছাশ্রমকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন নগরবাসী।
এলাকাবাসীরা জানান, একটি দল এই এলাকায় এসেছিলো। তাদের গতিবিধি তেমন ভালো ছিলো না। তারা হয়তো প্রথমে এলাকা দেখে গেছে। আক্রমণ করা যায় কিনা এর জন্য এসেছিল। গাড়িচালক জানান, অন্য দিনের তুলনায় এখন অনেকটা নিরাপদ মনে হচ্ছে। এটা তাদের জন্য অনেক ভালো। গত কয়েকদিন ধরেই নগরীতে চলছে ডাকাত আতঙ্ক। এতে কাঁঠালবাগানে মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের খবর দেয়া হয়। যাতে সড়কে নেমে আসেন স্থানীয়রা। প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি করেন তারা। এ সময় একটি অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৫ যাত্রী আটক হন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগীহীন অ্যাম্বুলেন্সটিতে থাকা যাত্রীদের আচরণ ছিল সন্দেহজনক।
এলাকাবাসীরা জানান, অ্যাম্বুলেন্স চকে করতে গিয়ে এর ভেতরে কয়েকজনকে দেখা যায়। দেশিয় হাতিয়ার সহ ৫ জনকে পাওয়া গেছে। তারা মাতাল অবস্থায় ছিলেন। তাদের মধ্য থেকে কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি কেউ।
শেখ হাসিনা সরকার পতনে দেশের চার শতাধিক থানায় হামলা হয়। এ কারণে দায়িত্ব পালন করছেন না, বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য।