একটি জাতীয় দৈনিকে ‘তিন কোটি টাকার ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. লিয়াকত আলী এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন।
এই কমিটি চেকের সত্যতা যাচাই করবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল করিম মাকসুদ জাহেদীকে এ কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিকে চেকের সত্যতা যাচাই করে আগামী তিন দিনের মধ্যে ‘সুস্পষ্ট মতামতসহ’ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. লিয়াকত আলী এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। সচিবালয় ও গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে কালবেলার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ডিসি নিয়োগের ঘটনায় আলোচনায় আসা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের (এপিডি) কক্ষ থেকে তিন কোটি টাকার একটি চেক উদ্ধার করা হয়।
খবরে বলা হয়, পদায়ন হওয়া এক জেলা প্রশাসকের পক্ষে ওই যুগ্ম সচিবকে চেকটি দেন এক ব্যবসায়ী। তবে কাঙ্ক্ষিত জেলায় পদায়ন না হওয়ায় চেকের বিপরীতে টাকা জমা দেননি ডিসি। অন্যদিকে সব কিছু ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চেকদাতা ওই ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জনপ্রশাসন, পুলিশ ও শিক্ষা ক্যাডারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদগুলোতে পরিবর্তন আসছে। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দু’দিনে ৫৯টি জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়। অবশ্য এর মধ্যে আট জেলা প্রশাসকের নিয়োগের আদেশ বাতিল করেছে সরকার। এসব জেলায় এখন নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।