
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউপির শ্রীখন্ডা গ্রামে শ্রীখন্ডা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা (স্বেচ্ছাসেবী ) কথিত সমিতির আড়ালে জম্পেশ দাদন ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানায়, স্থানীয় রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাবশালীদের নেপথ্যে সহায়তায় একটি বে-সরকারি ব্যাংকের কর্মচারি আলমগীর হোসেন এই দাদন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে বিনিময়ে প্রভাবশালীদের পকেটে প্রতি মাসে আনুঃপাতিক হারে সুদের একটি অংশ ঢুকছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ব্যতিত কোনো প্রতিষ্ঠান আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না। কিন্তÍ এরা নীতিমালা লঙ্ঘন করে সমিতির নামে রীতিমতো দাদন ব্যবসা করছে। কেউ আবার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ সুদাসলে টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে জোরপূর্বক তাদের কাছে থেকে ফাঁকা ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বার নিয়ে পরবর্তিতে তাদের কাছে থেকে চারগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তারা চড়া সুদে ঋণ প্রদান ও সঞ্চয়ের নামে আমানত সংগ্রহ করছে। এসব দাদন ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পড়ে গ্রামের অনেক কৃষক পরিবার নিঃস্ব হতে চলেছে। কিšত্ত সমাজের প্রভাবশালীরা এসব অবৈধ সমিতির কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় সাধারণ মানুষ কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
শ্রীখন্ডা গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, শীব নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছকে সমিতির বনায়ন, জাকাতের বস্ত্র বিতরণের ছবি দিয়ে সমিতির নামে প্রচার, ভূয়া দাতা সদস্য দেখিয়ে বিশ্ব ব্যাংকে আবেদন ও হাজী মার্কেটকে সমিতির কার্যালয় দেখিয়ে শ্রীখন্ডা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার ( সেচ্ছাসেবী) অনুমতি নিয়ে উচ্চ সুদে দাদন ব্যবসা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রায় ১০ বছর ধরে দাদন ব্যবসা করা হলেও গত বছর এই শ্রীখন্ডা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনুমোদন মিলেছে। আবার পূবালী ব্যাংক কর্মচারি ও সমিতির পরিচালক আলমগীর হোসেনের আয়ের উৎস্য নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে মূখরুচোক নানা গুঞ্জন বইছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীখন্ডা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক আলমগীর হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মানুষ বিপদে পড়ে তার সমিতি থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেয় এটা দোষের কি তিনি তো বরং মানুষের উপকার করছেন এসব ছোটখাটো বিষয়ে খবর প্রকাশ না করাই ভালো। এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ শওকাত আলী বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি, তবে এ বিষয়ে বিস্তাারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
