রাজনীতিতে তীব্র মতবিরোধ ও উচ্চ অংশীদারিত্ব থাকবে, তবে এটি কখনোই যুদ্ধক্ষেত্র বা হত্যার ক্ষেত্র হওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘যতই উচ্চ ঝুঁকি থাকুক না কেন, যত আবেগই থাকুক না কেন, রাজনীতিকে সহিংসতার পর্যায়ে নামানো উচিত নয়। পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুলিতে আহত হওয়ার পর স্থানীয় সময় রোববার রাতে শান্তি ও ঐক্যের আহ্বান দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ভাষণ শুরু করেন। ভাষণে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি।
মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ রাজনীতি কখনোই আক্ষরিক ভাবে যুদ্ধক্ষেত্র বা সৃষ্টিকর্তা না করুক, হত্যার ক্ষেত্র হওয়া উচিত নয়। আমি বিশ্বাস করি রাজনীতি শান্তিপূর্ণ বিতর্কের ক্ষেত্র হওয়া উচিত। আমরা এমন একটি আমেরিকার পক্ষে দাঁড়িয়েছি যেখানে চরমপন্থা ও ক্রোধ নয়, বরং শালীনতা ও অনুগ্রহ থাকবে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সকলেরই এখন পরীক্ষার সময়।’ তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা গভীরভাবে তীব্র মতবিরোধ অনুভব করেছি। এ নির্বাচনে অংশীদারিত্ব অনেক বেশি। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী কয়েক দশকের জন্য আমেরিকা ও বিশ্বের ভবিষ্যৎ গঠন হতে চলেছে।’
বাইডেন বলেন, ‘বাধাটা যতো বেশি হবে, আবেগ ততো বেশি উদগ্রীব হবে। তবে এ আবেগ যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তা যেন কখনোই সহিংসতায় পরিণত না হয়, এটা নিশ্চিত করতে হবে। বুলেটের মাধ্যমে নয়, ব্যালট বাক্সে মতপার্থক্য মিটিয়ে নেয়ারও আবেদন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমেরিকাকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা সর্বদা জনগণের হাতেই থাকা উচিত, কোনো হত্যাকারীর হাতে নয়।’ প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্পের ওপর হামলা করা বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়।
মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য কী ছিল এবং সংশ্লিষ্টতা বা তার অন্য কারও সাহায্য ও সমর্থন ছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি। এসব প্রশ্ন খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।