১৮ বছরের পুরানো সংসারের মায়া ত্যাগ করে ১৩ বছরের সন্তান রেখে নতুন সংসারে আবদ্ধ শিমুলী ইসলাম নিলু!

স্টাফ রিপোর্টারঃ দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে ফিরে তারাই সাংবাদিক! রাজউক কর্মচারী থেকে শুরু করে নতুন ভবন নির্মানকারী বাড়ীর মালিকরাও তাদের কাছে হেনস্তার স্বাকীর। হয় তাদেরকে দিতে হবে টাকা আর না হয় ভূয়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে মান সম্মান হানী করবেন বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এই দুই তথাকথিত স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে তাদের অপকর্ম নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যার কপি আমাদের দপ্তরেরও সংরক্ষিত রয়েছে। প্রিয় পাঠক তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি তদন্ত চিত্রের অনলাইন ভার্সনে “মাদক মামলার আসামী মাদক বিরোধী সংগঠনের মহাসচিব!” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে রাজধানী জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। উক্ত সংবাদে কথিত নারী সাংবাদিক শিমুলী ইসলাম নিলুও নড়েচড়ে বসে। অত্র পত্রিকার সম্পাদককে ম্যানেজ করতে না পেরে নিজের অপকর্ম সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ থেকে আড়াল করতে অপরাধ বিচিত্রা’র অনলাইন ভার্সন একটি প্রতিবাদ দেন। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাদের হয়রানীর স্বীকার নিরীহ সাধারন মানুষ ও বিভিন্ন সরকারী অফিসের কর্মচারী/কর্মকর্তারা তাদের অপকর্মের তথ্য দিতে শুরু করেছে। আমরা সেই তথ্য প্রমান আগামী সংখ্যায় তদন্ত চিত্র পত্রিকায় প্রকাশ করবো।
জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখানে তথাকথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এইচ এম আমান গাজাঁসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসায় জড়িত। বিগত কয়েক বছর ধরে সে ধুমধাম ব্যবসা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটি মাদক ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী, সিলেট সহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা আছে বলে একাধিক সূত্র জানায়। এ ছাড়াও আলোকিত সকাল পত্রিকার সম্পাদক ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আটক আছে। তার সাথে আমানের সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া গেছে। ঢাকা রেলওয়ে থানাধীন বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আলী আকবর আমানকে গত ১১/১২/২০১৫ ইং তারিখে ৫ কেজি ১০০ গ্রাম গাজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য আইনে আমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। যার মামলা নং-২২৫, তারিখঃ ৩১/১২/২০১৫ ইং। তিনমাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও পূর্বের ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়ে। তার এসব কাজে সার্বক্ষনিক সঙ্গ দেয় তার ২য় স্ত্রী নামধারী নিলু। নিলু এলাকায় ভয়াঙ্কর হিসাবে চিহ্নিত এবং এই সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্য। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি এই সিন্ডিকেট ব্লাকমেইলেং ও চাদাঁবাজীসহ অনেক অপকর্মের হোতা। তার কাছে একাধিক মেয়ে রয়েছে তাদেকে দিয়ে সরকারী অফিস নিয়ে নিলু তার বাসায় খদ্দর এনে পতিতা ব্যবসা করে থাকেন। দীর্ঘ দিন ধরে তার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে হাজার মানুষ। কিছুদিন পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা কার্ড পাওয়ার জন্য টাকা লেনদেন করেছিলেন। তিনি পিলারের ব্যবসা করতে পাবলিকের হাতে গনধোলাই খেয়েছিলেন। এই সিন্ডিকেট অভিনব উপায়ে ব্লাকমেইলিং ও চাদাঁবাজী করে থাকে। সহযোগীরা কোন ব্যাক্তিকে টার্গেট করে তার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে আমান সিন্ডিকেট রাত্রিবেলা হানা দেয় তার বাড়িতে। কখনো সাংবাদিক পরিচয়ে কখনো পুলিশ পরিচয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একপর্যায়ে টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে তাকে বিভিন্ন রকমের হুমকি দেয়। কখনো নিউজ করার হুমকি দেয় আবার কখনো প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই সিন্ডিকেটের নিকট জিম্মি দক্ষিণখানবাসী। আমান ও তার এই সিন্ডিকেট এমনিভাবে একদিন হাজির হয় দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ এলাকায় জনৈক কাদিরের বাড়িতে। কাদিরকে ভুয়া ঔষধ ব্যবসায় জড়িত বলে ৯০ হাজার টাকা দাবী করে। এর কিছুদিন পূর্বে আমানের কথিত স্ত্রী নিলু কাদিরের নিকট হতে একইভাবে ২৬ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে। এবার কাদির টাকা দিতে অস্বীকার করায় হৈচৈ শুরু হয়। এতে প্রায় শতাধিক লোক জড় হয়। এলাকাবাসী আমান, নিলুসহ ৪ জনকে আটক করে টহল পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। আমানরা টহল পুলিশের নিকট সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হাতেপায়ে ধরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় বলে জানা যায়। এর পরের দিন কাদিরের নিকট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দাবী করে। কাদির টাকা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে নিউজ করে। তাতেও টাকা প্রাপ্তি না হওয়ায় গত ০৯/১০/১৭ ইং তারিখে রাতে বাসায় এসে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে দক্ষিণখান থানায় কাদির জিডি করেন, জিডি নং-৫৯০, তারিখঃ ১০/১০/১৭ ইং। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এমন স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা ফারুকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐদিন আমার বাসার কাছে এত রাতে ছেচামেচির শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমি উঠে ঘটনাস্থলে এসে দেখি প্রায় শতাধিক লোক সেখানে জড়ো হয়। তারা বলে, এরা চাদাবাঁজ, এরা ভুয়া সাংবাদিক, ইত্যাদি, ইত্যাদি। পরে টহল পুলিশের হাতে তাদেরকে সোপর্দ করা হয়। ওরা পত্রিকায় লিখেছে আমি নাকি কাদিরের অবৈধ ঔষধ ব্যবসায় শেল্টার দেই। কাদিরের ব্যবসার সহিত আমার কোন সম্পর্ক নাই। পিবিআই ইন্সপেক্টর সফিকুল ইসলামের বাসা ঘটনাস্থলের কাছেই। তিনিও তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার নিকট এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এত রাতে ছেচামেচির শব্দ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখি সেখানে প্রায় শতাধিক লোক জটলা। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলে উপস্থিত লোকজন জানালেন, কয়েকজন ভুয়া সাংবাদিক ধরা পড়েছে, তারা চাদঁবাজী করতে এসেছিল। পরে টহল পুলিশের হাতে তাদেরকে সোপর্দ করা হয়। ওরা পত্রিকায় আমার নামে যা লিখেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। কাদিরের ব্যবসার সহিত আমার কোন সম্পর্ক নাই। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল সংলগ্ন বাড়ির মালিক সেলিম নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নামে পত্রিকায় লিখছে আমি নাকি তাদের পত্রিকা ছিড়ে ফেলেছি এবং মারধর করেছি। ঐদিন আমি আমার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গাতে ছিলাম তাহলে আমি কিভাবে ওদেরকে মারধর করলাম। আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা লিখেছে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সদস্য ও দৈনিক সংবাদ দিগন্তের সম্পাদক এবিএম মনিরুজ্জামান এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল আমার বাসার কাছে। ঐদিন এত রাতে ছেচামেচির শব্দ পেয়ে আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি প্রায় শতাধিক লোক সেখানে উপস্থিত। কয়েকজন সাংবাদিককে টহল পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। পরিচয় জিজ্ঞেস করাতে একজন নিজেকে আমান নাম বলে এবং সাংবাদিক পরিচয় দেয়। আমি পুলিশকে অনুরোধ করি তাদেরকে ছেড়ে দেবার জন্য। তারা আমার নামেও আপত্তিকর কথা লিখেছে। কাদির যদি অবৈধ ঔষধের ব্যবসা করে থাকে তাহলে কাদিরের বিরুদ্ধে নিউজ করতে পারত। কাদিরের ব্যবসা একান্তই তার নিজের এর সহিত অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা বা কোন শেল্টারদাতা আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে? আমানকে গ্রেফতারকারী ঢাকা রেলওয়ে থানাধীন বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আলী আকবরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এরা এ পেশাকে কলুষিত করেছে। আপনারা এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী কমান্ডার মোতাহার আলী বলেন, ঘটনাস্থলের কাছেই আমার বাড়ি। ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম। এসব ভুয়া সাংবাদিকরা চাঁদাবাজি করতেই এসেছিল। এলাকার যাদের বিরুদ্ধে যে নিউজ করেছে তা সবই মিথ্যা বানোয়াট।
কে এই আমান?
নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল গনি পাটোয়ারীর পুত্র আমান। এক সময় সৌদি আরবে শ্রমিক হিসাবে কাজ করত সে। পরবর্তীতে দেশে এসে রাজধানীর দক্ষিণখানের প্রেম বাগান এলাকায় মুদি দোকান দেয়। অনেককে সৌদি ভিসা দেবার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারনা করে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন সালিশ বৈঠক করে তার দোকান নিয়ে নেয় এবং ঐ এলাকা হতে তাড়িয়ে দেয়। এরপর সে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। মাদক ব্যবসাকে নির্বিঘ্ন করতে সে সাংবাদিকতার কার্ড কেনে। সাংবাদিকতার নামে চাদাঁবাজী ও ব্লাকমেইলিং করে। সে কাউকে কোন কার্ড, বাসার ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর পর্যন্ত দেয় না। তার ১ম স্ত্রী সন্তানসহ নোয়াখালীতে থাকেন। সেই স্ত্রীর নাম ফরিদা। বর্তমানে লোক মারফতে জানা গেছে, তাকেও দক্ষিনখান একই বাসায় নিয়ে আসছে। আমান রাজধানীর দক্ষিনখানের নগরা বাড়ী রোড মুন্সিবাড়ী এলাকায় থাকে বলে জানা গেছে।
নিলুর সাথে পরিচয়:
বর্তমান আমানের কথিত স্ত্রী নিলু এক সময় ভাসমান পতিতা হিসাবে তেজগাঁ সহ বিভিন্ন এলাকায় যেতেন। সেই সুত্র ধরেই তার সাথে পরিচয় হয় মাদক বিক্রিতা আমানের। উত্তরা বিআরটিএ কন্টাকে সবাই মিলে নিয়ে যায় নিলুকে। তার পর আমান নানা মানুষের কাছে তাকে বিক্রি করে যখন নিজে ফেঁসে যাচ্ছে তখনই নাম মাত্র বউ হিসাবে ব্যবহার করছে। বিমান বন্দর এলাকার জসিম জানান, বিয়া করলো কবে জানলাম না। মাঝে মাঝে দেখতাম আমান নিলুর বাসা থেকে বের হতো। আমরা আমানরে মারতে ছেয়েছিলাম এখন দেখি সেও সাংবাদিক। এখনো তাদের বিয়ে কোন কাবিন নেই বলে জানান জসিম। নিলু উত্তরায় ১০টি মেয়ে নিয়ে তার বাসায় দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ব্যবসা। বর্তমানের এ তার বাসার তিন কামরার এক কামরা কেউ যেতে পারেনি। সেখানে মাদক ও দেহ ব্যবসা হয় একটি সুত্রে জানা যায়। নিলুর বড় বোন বিএনপি সাথে জড়িয়ে আছে বলে জানা যায়। আমানও নিলু কথিত দম্পত্তি বিরুদ্ধে র্যাব ও ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের মিডিয়ার মাকসুদুর রহমান জানান, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এব্যাপারে কথিত সাংবাদিক আমান ও নিলুর মুঠো ফোনে বারবার চেষ্টা করলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
চাঁদাবাজি :
১/ কাদের কবিরাজ কাছ থেকে ২৬০০০ টাকা
২/ হাছান নামক এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা
৩/ মিরপুর বিআরটিএ হতে কামাল এর কাছ থেকে ৫০০০০ টাকা
৪/ মাষ্টার পারা বাড়ী থেকে চাঁদা দাবী করেন দশ লক্ষ টাকা
৫/ আজমপুর রুচি রেস্তরায় চাঁদাবাজীর এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ফেরত দেন তমিজউদ্দীন সরকারকে।
৬/ নবী হোসেন ভুঞা (বাবুল) কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা নেন।
৭/ তার মাদক র্স্পট মোট ১৪ টি
৮/ টঙ্গী গাজীপুর সহ মোট ৪০ স্থানে মেয়ে সাপ্লাই দিয়ে থাকেন।
৯/ মানবপাচার চক্রের মাধ্যমে মিয়ানমার মেয়ে পাচার করে থাকেন।
১০/ তার বাসায় ইয়াবার ডাইচ রয়েছে। আরো বিস্তারিত আসছে, চোঁখ রাখুন নিয়মিত তদন্ত চিত্রে।
