দেশের কোনো স্থানে যাতে শহীদ আবু সাঈদ এর ভাস্কর্য নির্মাণ না করা হয় এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত বক্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বলা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তারা জানতে পারেন শহীদ আবু সাঈদ এর নামে বিভিন্ন স্থানে তার প্রতি ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
কিন্তু ইসলাম ধর্মে সকল প্রকার মূর্তি বা ভাস্কর্য তৈরী নিষিদ্ধ তাই ধর্মীয় নিয়ম কানুন এবং আখিরাতে বিশ্বাস এসব বিষয় সতর্কতা থেকে শহীদ আবু সাঈদের পিতা তার সন্তানের কোন প্রকার ভাস্কর্য বা মূর্তি তৈরী না করতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ করেন। তিনি আরো লিখেন তার শহীদ সন্তান আবু সাঈদের প্রতি যদি দেশবাসী ভালোবাসা দেখাতে চান তবে বিভিন্ন সামাজিক এবং জনকল্যাণমূলক কাজ করতে যার সওয়াব আবু সাঈদের কবরে পৌছাবে।
সন্তানের আত্বত্যাগের বিনিময়ে কোন প্রকার মূর্তি বা ভাস্কর্য না বানানোর অনুরোধের পাশাপাশি তিনি তার সন্তানের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেনো আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাওস দান করেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বোরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ আন্দোলন চলাকালীন প্রকাশ্যে ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার স্মরণে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার ও স্থাপনার নামকরণ করা হয়েছে।
আবু সাঈদ নামে রংপুরে চত্বর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের নাম : রংপুরে পার্কের মোড়ের নতুন নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’। বেরোবির ১ নম্বর গেট যেখানে আবু সাঈদ নিহত হয় সেই গেটের নামও তার নামে নামকরণ করা হয়।
ইতিমধ্যেই গুগল ম্যাপের মাধ্যমে রংপুর পার্ক মোড়ের স্থানটি ‘শহীদ আবু সাঈদ চত্বর’ নামেই দেখা যাচ্ছে।