ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার দৌলতখানে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আ’লীগের কর্মীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা নেন নি দৌলতখান থানা পুলিশ। এতে আহত লোকজন আরো জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন ভুক্তভোগিদের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীও অস্র দ্বারা আ’লীগ কর্মীদেরকে মারধর করলেও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ একটি লিখিত অভিযোগও নেননি। থানায় অভিযোগ দিতে গেলে দৌলতখান থানার ওসি অভিযোগকারীদেরকে থানা থেকে বের করে দেন। সূত্র জানায়, ভোলার দৌলতখান থানাধীন সৈয়দপুর ইউনিয়নের ইউনুস মহাজনের ছেলে ফারুক মহাজন কে নুর মিয়া বাজারে ডেকে নিয়ে এলোপাথারী দেশীয় অস্র দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে সন্ত্রাসী অদুদ হাওলাদারের ছেলে মাসুদ সহ ৫/৬ জন সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় আরো ছিলেন, সাগর, শাহিন, রিয়াজ, বিল্লাল, রাসেল, হুমায়ুন মিলে হামলা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে ভর্তি করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুদের পিতা অদুদ হাওলাদারের উপজেলা নির্বাচনে সমর্থন না করায় শাহিন তার দলবল নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠছে। দৌলতখানের বিভিন্ন পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন। এদিকে যারাই তাদের অপকর্ম নিয়ে ফেইসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছে তাদের ফেইসবুক হ্যাক করে উল্টো ভুক্তভোগিদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি। অভিযোগ রয়েছে, দৌলতখান এলাকা জুড়ে তাদের বাহিনীর কাছে জিম্মি এলাকার নিরীহ সাধারণ মানুষ। তাদের রয়েছে ঐ এলাকায় জলদস্যুবাহিনী।

একটি পোস্টে এক ব্যক্তি বলেন, ১১৬ ভোলা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও দৌলতখাঁন থানার সকল জনগণের দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক জানাইতেছি যে, ৭নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মরহুম ইউনুস মহাজন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্যাতিত ত্যাগী পুরুষ তাহার ঔরশজাত সন্তানগণ আওয়ামীলীগের সক্রিয় সদস্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় রাজাকার বাহিনীর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীতা করার কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক কান কাটা সালেম হাওলাদারের পরিবারের বর্তমান আওয়ামী নামধারী মাদক ব্যবসায়ী মাদক সম্রাট, নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ী ও জবরদখলকারী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ অদুদ পরিবার প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা ও নারী দেহ ব্যবসা পরিচালনাকালে দেশরত্ন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশ ও জাতিকে মাদক মুক্ত করার ঘোষনা অনুযায়ী মরহুম ইউনুস মহাজন এর সন্তানদের (ফারুক মহাজন, আকিব শেখ) সক্রিয় প্রতিবাদের কারণে ভুয়া আওয়ামী নামধারী মাদক ব্যবসায়ী মাদক সম্রাট, নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ী ও জবর-দখলকারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ অদুদ পরিবারের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী অদুদ, শাহিন, হুমায়ুন, মাসুম, সাগর, বিল্লাল, তানভীর, মামুন ও রিয়াজ গং রিভোলবার, চাইনিজ কুড়াল, ক্রিজ, বগি দাও দিয়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে এলোপাতারি কুপিয়ে ও জয়েন্ট পাইপ দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। বর্তমানে ফারুক মহাজন ও আকিব শেখ মৃত্যুর সাথে হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছে। এই বিষয়ে দৌলতখাঁন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট কয়েকবার অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরও সে কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করে নাই। শত চেষ্ঠা করেও উক্ত বিষয়ে থানায় মামলা করতে পারি নাই। অস্ত্রধারী সন্ত্রাস বাহিনী হামলা করার পূর্বে জানতে পেরে বেশ কয়েকবার থানায় ফোন করে সহযোগিতা চেয়েও কোন প্রকার সহযোগিতা পাওয়া যায় নাই। বর্তমানে ফারুক মহাজন ও আকিব শেখ মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যদি মৃত্যুবরণ করেন তাহলে উক্ত মৃত্যুর জন্য দৌলতখাঁন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী থাকিবেন। উক্ত বিষয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যায়কারী যেই হোক তার শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।