বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বল্প সময়ে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সে সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি সুইস কম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে আহবান জানান।

এ সময় উপদেষ্টা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বল্প সময়ে যে সব কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন, সে বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি সুইস কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য স্বাগত জানান।

ফাওজুল কবির জানান, তিনি সম্প্রতি মাতাবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় গভীর সমুদ্র বন্দর, অর্থনৈতিক জোন, রেললাইন ও সড়ক প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু শুধু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে এর থেকে প্রকৃত সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি খরচে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে যা ‘ভ্যালু ফর মানি’ হয়নি।

এখন থেকে বড় প্রকল্পের সাথে ছোটো ছোটো প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প খরচে দ্রুত তা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহারেরও কথা জানান তিনি। সুইস ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় উপদেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত রেটো রেংলি জানান, এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। বর্তমান সরকারের স্বল্প সময়ে গৃহীত পদক্ষেপ প্রশংসাও করেন রাষ্ট্রদূত।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিতর্কিত আইন স্থগিত ও বিআরসি আইনের ৩৪ক ধারা বাতিল, ওপেন টেন্ডার, সচিবদের তাদের আওতাধীন কোম্পানির চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণসহ গৃহীত পদক্ষেপ এখাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেন রেংলি।