
ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেয়াতে ভারত থেকে আসা ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় দেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারসহ বেশ কিছু অঞ্চলের প্রায় ৪ লাখের বেশি পরিবার পানিবন্দি ও ২৯ লাখের বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তলিয়েছে পুরো ফেনী। দেশের সর্বস্তরের মানুষ সকলের জায়গা থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বন্যার্ত এলাকায় খাবার সরবরাহ করতে এবং স্পিড বোট নিয়ে যাচ্ছে আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধার করতে।
বন্যার্তদের পাশে অন্যান্য ব্যাক্তিপ্রতিষ্ঠানের মত বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়নবোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও এগিয়ে এসেছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। ঢাকার পান্থপথ এলাকায় অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের একদিনের বেতনের অংশ দিয়ে ফেনি এলাকার আটকে পড়া মানুষদের জন্য জরুরী ওষুধ, সুপেয় পানি, চিড়া, গুড়, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, খেজুর, লাইটার,মোমবাতি, নারীদের পোষাক সহ প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী ক্রয় করে তা একদল স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে তুলে দেন। রাতে স্বেচ্ছাসেবীরা তা প্যাকেট করে। স্বেচ্ছাসেবীদের যাতায়াতের সুবিধার্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হায়েস এবং ট্রাক ভাড়া করে দেন।
স্বেচ্ছাসেবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পানি উন্নয়নবোর্ডের ফরকাস্ট বিভাগের প্রধান তাদের আবহাওয়া ও বন্যার পূর্বাভাস নিয়ন্রকারী সার্ভারের সাহায্যে বন্যা কবলিত ফেনি এলাকার বিভিন্ন অবস্থান সম্পর্কে ব্রিফ করেন এবং জরুরী অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেন।
রাত তিনটায় স্বেচ্ছাসেবীরা ট্রাকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ফেনীর পথে রওনা হয় । স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে রয়েছেন নুরালম মাহমুদ রিপন (আবরার), আয়মান, ইমন, ফারহানসহ আরো অনেকে।
স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন নুরালম মাহমুদ রিপন যিনি কিনা বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন এবং আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হ্রাস করতে বাংলাদেশ প্রতিযোগীতা কমিশন ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে বিভিন্ন প্রকার আলোচনা করছেন এবং বাজার মনিটরিং করছেন। পণ্যের মূল্যহ্রাস করতে বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করেছেন।
