সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে পিএসসির সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
চেয়ারম্যান ছাড়া পিএসসির যেসব সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা হয়েছে তারা হলেন - সাবেক সিনিয়র সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সাবেক সচিব ও এন সিদ্দিকা খানম, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালের সাবেক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার সাহা, জাহিদুর রশিদ, অধ্যাপক ড. মুবিনা খোন্দকার, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, কে এম আলী আজম, মো. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, ও অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
তবে পিএসসির ১৫ সদস্যের মধ্যে হেলালুদ্দিন আহমদ ও মোহাঃ শফিকুল ইসলামের পদত্যাগপত্র বিকাল ৫টা পর্যন্ত পদতাগপত্র জমা হয়নি বলে জানান মতিউর রহমান। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পিএসসি চেয়ারম্যান পদে যোগ দেন অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব সোহরাব হোসাইন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পিএসসি চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগের দাবির মধ্যে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার এক বছর আগেই বিদায় নিতে হল সাংবধানিক পদের এ চেয়ারম্যানকে।
বাংলাদেশের সংবিধানের পাঁচটি অনুচ্ছেদ সংবলিত একটি অধ্যায়ে (৯ম ভাগের ২য়) কমিশনের গঠনপ্রণালী ও কার্যাবলি রয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক (কার্যত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে) পাঁচ বছর মেয়াদে অথবা তাদের বয়স পঁয়ষট্টি বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। নিয়োগযোগ্য সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন সদস্যের সংখ্যা সংবিধানে নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে ১৯৭৭ সালে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির এক অধ্যাদেশে চেয়ারম্যানসহ এ সংখ্যা সর্বোচ্চ পনেরো (ন্যূনতম ছয়) নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবশেষ পিএসসিতে একজন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য ছিলেন এবার। বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, একজন সভাপতি এবং অন্যূন ৬ জন ও অনধিক ২০ জন সদস্য সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।