প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তিন কর্মকর্তা ও সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানা গেছে।
আবেদ আলী ছাড়াও আটকদের মধ্যে আরও রয়েছেন, তার ছেলে সোহানুর রহমান সিয়াম, পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও রয়েছেন- সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা এবং বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন ও লিটন সরকার।
সৈয়দ আবেদ আলী পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক ছিলেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুসন্ধানে বিসিএসের প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার ঘটনায় তার নামও উঠে আসে। এরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আবেদ আলীর অঢেল সম্পদের তথ্যও পাওয়া গেছে তার ফেসবুক প্রোইফাইলে। এদিকে ছাত্রলীগের ডাসার উপজেলা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ছিলেন আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।
এছাড়া বর্তমানে ঢাকা উত্তর শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক তিনি। ফেসবুকে তাকে নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত দেখা যায়। সেই সঙ্গে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন তিনি।