চট্টগ্রামের জে এম সেন হল পূজামণ্ডপে গান পরিবেশন নিয়ে বিতর্কের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় একটি মামলাও হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মণ্ডপে অনুষ্ঠানের মঞ্চে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম রাতেই ওই পূজামণ্ডপে গিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।
এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় মন্ডপ কমিটির দু'পক্ষের। ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম রাতেই ওই পূজামণ্ডপে গিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের ছয় সদস্য অনুষ্ঠানে দুটি গান পরিবেশন করেন। তার মধ্যে একটি গান ছিল ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রায় ৩ মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যায়, ছয়জন তরুণ মঞ্চে গান পরিবেশন করছেন। এ সময় তারা একটি ইসলামি সংগীত পরিবেশন করছেন। আশপাশে উপস্থিত কয়েকজনকে সেটি মুঠোফোনে ধারণ করতে দেখা যায়।
কালচারাল একাডেমির দাবি, পূজা কমিটির সম্মতিতেই মঞ্চে উঠেছিলেন। তবে পূজা কমিটি বলছে তারা আমন্ত্রিত ছিলেন না। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি সেলিম জামান জানান, পূজা উদ্যাপন কমিটির আমন্ত্রণেই সেখানে সংগীত পরিবেশন করতে গেছেন তারা। সেখানে দুটো গান পরিবেশন করা হয়েছে, দুটোই সম্প্রীতির সংগীত। কেউ কেউ ভিডিও এডিট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও যাচাই করে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, পূজামণ্ডপে গানের ভিডিওটি আসল, এডিটেড নয়।