জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশি চক্রান্তের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
তিনি বলেন, “আমরা সব ধরনের চক্রান্ত মোকাবিলায় প্রস্তুত। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সর্বোচ্চ নজরদারি থাকবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, “পূজামণ্ডপগুলোতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। সারাদেশে পুলিশ সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুর্গাপূজাকে ঘিরে সারাদেশে মোট ৪৯টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৫টি মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯ জনকে। তবে কোনো ঘটনাই বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারেনি, সবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে।’
বাহারুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বেশ কয়েকজন জামায়াত নেতা গ্রেফতার হয়েছেন, যারা পুজা মণ্ডপে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গেছে।
আইজিপি বলেন, এসব ঘটনায় অভিযোগ ছিল- প্যান্ডেলে পানি নিক্ষেপ, প্রতিমা হেলে পড়া, পূজা কমিটির কাছে চাঁদা দাবি, ভ্যান থেকে পড়ে গিয়ে প্রতিমা ভেঙে যাওয়া, ব্লেড দিয়ে প্যান্ডেলের চাঁদোয়া কেটে দেয়া এবং জামায়াত কর্মী পরিচয়ে মণ্ডপে গিয়ে গান বন্ধের নির্দেশ দেয়া।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অনেকে পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে।’
আইজিপি বলেন, নির্বাচনকালে ২ লাখ ৫০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে।
তিনি বলেন, ‘মামলা বাণিজ্য এখনও চলছে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে যদি আসামি করা হয় এবং তাতে পুলিশের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, গত জুলাই-আগস্টের ঘটনায় মোট ১ হাজার ৭৬০টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৫৫টির চার্জশিট দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে মোহাম্মদপুর এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।