রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের লেক থেকে উদ্ধার সাত টুকরো লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। উদ্ধার ব্যক্তির নাম জসিম উদ্দিন মাসুম। বুধবার সকালে পূর্বাচল উপশহরের ব্রাহ্মণখালী লেক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ফতুল্লা উপজেলার শিবু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মাসুম সস্তাপুর চাঁদ ডাইংয়ের মালিক।
নারায়ণগঞ্জ ‘গ’ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান জানান, লেকে সাত টুকরো লাশ পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তিন-চার দিন আগে তাকে হত্যা করে পলিথিনে মুড়িয়ে লেকে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পরিবারের লোকজন মাসুমের লাশ শনাক্ত করেন। ফতুল্লা থানার সস্তাপুর এলাকার হাজি আলেক চাঁন বেপারির ছেলে মাসুম (৫৯) ঢাকার ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন।
তিনি আরও বলেন, প্রেমের কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় রুমা আক্তার নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রুমার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, হেসকো ব্লেড, সাফারি ও জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। রুমা ময়মনসিংহের গৌরিপুর থানার তারাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, পূর্বাচল উপশহরের ৫নং সেক্টরের লেকের পাড় থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে, রোববার মাসুমের ছেলে ওবায়দুল ইসলাম শিমু গুলশান থানায় জিডি করেন। জিডির পর এ ব্যাপারে মাসুমের গাড়িচালক মালেক মিয়ার কাছ থেকে তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়।
এসব পর্যালোচনা ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রুমা আক্তারকে ঢাকার কাফরুল-শেওড়াপাড়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রুমার দেওয়া তথ্য অনুসারে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি, একটি হেসকো ব্লেড, মাসুমের পরনের সাফারি, এক জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রেমঘটিত বিষয়ে রুমা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।