তদন্ত চিত্রের প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সংস্থাপন) নন্দিতা রানী সাহা। তাঁর প্রতিনিধির লেখা প্রতিবাদ হুবহু প্রকাশ করা হল।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ৪টি সংস্থাপন শাখা রয়েছে। এ ৪টি শাখার মধ্যে সংস্থাপন শাখা-১ এ গেজেটেড কর্মকর্তা, সংস্থাপন শাখা-২ এ ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা, সংস্থাপন শাখী-৩ এ তদন্ত সংক্রান্ত এবং সংস্থাপন শাখা-৪ এ সকল ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা হয়। সংস্থাপন শাখা-৪ এর অধিনস্থ ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য একটি বিভাগীয় যাচাই-বাছাই (ডিপিসি) কমিটি বিদ্যমান রয়েছে। এই কমিটির সদস্যগণ হলো- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা এবং অত্র অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (সংস্থাপন) সহ ০৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট বিভাগীয় নিয়োগ, পদোন্নতি সংক্রান্ত বিভাগীয় যাচাই-বাছাই কমিটি (ডিপিসি)। পদাধিকার বলে উক্ত কমিটির সভাপতি হলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সংস্থাপন)। উক্ত কমিটির সকল সদস্যের একমতের ভিত্তিতে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং প্রচলিত নিয়োগ বিধি অনুযায়ী পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সাথে সংযুক্ত শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেল। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌলশী (সংস্থাপন ও সমন্বয়) এর দপ্তর হলো রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেলের জোন অফিস। একারনে প্রধান প্রকৌশলী কার্যালয়ের পদোন্নতির সাথে রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেলে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনরকম নিয়মের বা বিধি বহির্ভূত অথবা কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব করা হয় নাই। এক্ষেত্রে এককভাবে কোন অবস্থাতেই সভাপতি নিজস্ব মতামত দেয়ার সুযোগ নেই।
এছাড়া অন্যান্য বিভাগ/ সার্কেল বিভিন্ন জোনের অধিনস্থ হওয়ায় এ পদোন্নতির সাথে সংযুক্ত করার সুযোগ হয় নাই এবং অন্যান্য জোন/সার্কেল/ বিভাগের পদোন্নতি প্রদানের লক্ষ্যে জোন/ সার্কেল ভিত্তিক তথ্য চেয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে, যা প্রক্রিয়াধীন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীন সকল সার্কেল/জোন এ কর্মরত 'অফিস সহায়ক’ হতে ‘অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক' পদে পদোন্নতির জন্য নিয়োগ বিধি মোতাবেক ফিডার পদে ০৭(সাত) বছর ও মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা ও তথ্য চেয়ে পত্র দেয়া হলে, সকল সার্কেল/জোন হতে তথ্য প্রেরণ করে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কম্পিউটারে পরীক্ষা নেয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা এবং অত্র অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (সংস্থাপন) সহ সকলের উপস্থিতিতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক পরীক্ষা নেয়া হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বা কম্পিউটার সোসাইটি কর্তৃক পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র তৈরী, পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ণ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় যাচাই-বাছাই কমিটি (ডিপিসি) এর সভাপতি, সদস্য সচিব, বহি: সদস্য (প্রশাসন মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পিএসসি সদস্য) এদের কারোরই পরীক্ষা গ্রহণে কোন হাত নাই।
গৃহীত পরীক্ষার ফলাফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি। সকল পরীক্ষার্থীদের বর্তমান চাকুরি বহি ও এসিআর মূল্যায়ণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সুতরাং যেসমস্ত রোল নম্বর উল্লেখ করে এবং স্বার্থানেষী মহলের কথায় এই মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছে তা সত্যিই দু:খজনক। দুর্নীতি বা পক্ষপাতিত্বের এমন ভ্রান্ত প্রতিবেদন ভিত্তিহীন। এক্ষেত্রে আমার স্বচ্ছতা, সততা ও আদর্শকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ জাতীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তদন্ত চিত্রে যেসকল তথ্য, উপাত্ত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তার সাথে পদোন্নতি কমিটির সভাপতি অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সংস্থাপন) কোন ধরনের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব করার প্রশ্নই আসে না। তাই আমি এ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত অবাস্তব সংবাদের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।