নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সংগঠন অবৈধ, সরকারি অনুমোদন জোটেনি ১০ বছরেও। অথচ সেই সংগঠনের লোগো ডিজাইন নাকি বৈধ! এমন বৈপিরত্যর প্রমাণপত্র দিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের কপিরাইট দপ্তর। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) নামের একটি সংগঠনের অনুকূলে এ ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ লোগো ট্রেডমার্কস অনুমোদন দেয়ার আজব ঘটনা ঘটেছে। আরেকদিকে প্রতারণার জন্য নতুন নতুন কৌশল তৈরি করে চলেছেন সংগঠনের তথাকথিত সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর। বিএমএসএফ নামের সংগঠনটি অনুমোদন বা গঠনতন্ত্র না থাকা সত্ত্বেও ঢাকাসহ সারাদেশে কমিটি দিয়ে হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এমন অভিযোগ পুরানো।
তবে নতুন করে বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে সংগঠনটি ভূঁইফোড় সাংবাদিক তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত পাওয়ার পর প্রতারণার নতুন পন্থি এঁটেছে। সম্প্রতি সংগঠনটি অনুমোদন পেয়েছে মর্মে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচনার ঝড়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নতুন কৌশল নিয়েছে লোগো কপিরাইট নামের চল-চাতুরীতে। মহা প্রতারক হিসেবে পরিচিত পাওয়া আহমেদ আবু জাফর নানা বিতর্কের মধ্যে দিয়ে জন্ম দিয়েছেন নতুন প্রতারণার ফাঁদ হিসেবে লোগো কপিরাইট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেখানে সংগঠনটাই বৈধ নয়, সেখানে তার লোগো সাইনবোর্ডের বৈধতা বা অবৈধতার সনদ কিভাবে দেয়া হলো? মূলত অবৈধ সংগঠনটিকে বৈধ লোগো ব্যবহারের মাধ্যমে চাঁদাবাজি চালানোর সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে কপিরাইট দপ্তর সূত্র দাবি করেছে, দেশের যে কোনো নাগরিক তার বা তাদের ব্যবহৃত যে কিছুকে নির্দিষ্ট ফি মাসুল দিয়ে লোগো ডিজাইন মার্কস করতে পারেন। এমনকি নিজের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা কালারের লুঙ্গি বানিয়ে সেটাও লোগো ডিজাইনের আওতায় সনদপত্র করিয়ে নিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই। চলবে- আরো বিস্তারিত পত্রিকায়। চোখ রাখুন।