আওয়ামী সরকারের আমলে জাতীয় প্রেসক্লাবকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে এর ভাবমূর্তি ধ্বংস করা এবং পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে মদদ দিয়ে টিভি চ্যানেলের বিভিন্ন টকশোতে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রদের রক্ত ঝড়ানোর মত মানবতা বিরোধী কাজে জড়িত থাকায় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত সহ আরো অনেক আওয়ামী দালাল সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের গুলি করা এবং তাদের অধিকার আদায়ে বাধা তৈরীতে সাবেক আওয়ামী সরকার শেখ হাসিনাকে ইন্ধন যোগাতে এবং তরুণ ছাত্রদের হত্যার মত অমানবিক সিদ্ধান্ত নিতেও সহায়তা করেছে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য প্রভাষ আমিন, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হাসান চৌধুরী, ফারজানা রুপা, আসিফ জেপ্তিক, অশোক চেীধুরী, শাহজান সরদার, সুভাস সিংহ রায়, আজমুল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মঞ্জুল ইসলাম (ডিবিসি) প্রণব সাহা (ডিবিস), নঈম নিজাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন), খায়রুল আলম (ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট ও ডিইউজে নেতা), সাইফুল আলম (যুগান্তর), আবেদ খান, সুভাষ চন্দ্র বাদল, জ.ই মামুন, জাফর ওয়াজেদ (পিআইবি), শাহনাজ সিদ্দিকী (বিএসএস), সাইফুল ইসলাম কল্লোল (বিএসএস), পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, সৈয়দ বোরহান কবির, শাবান মাহমুদ, সৈয়দ ইশতিয়াক, মোল্লা আমজাদ, শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মামুন আব্দুল্লাহ (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), সোমা ইসলাম (চ্যানেল আই), শ্যামল সরকার (ইত্তেফাক), অজয় দাস (সমকাল), আলমগীর হোসেন (সমকাল), শাকিল আহমেদ (৭১ টিভি), রামা প্রসাদ (সমকাল), সঞ্জয় সাহা পিয়াল (সমকাল), আলমগীর হোসেন (সমকাল), ফরাজী আজমল (ইত্তেফাক), আনিসুর রহমান (বিএসএস), স্বপন বসু (বিএসএস), হাসান জাবেদ (এনটিভি), মিথিলা ফারজানা (৭১ টিভি), শবনম আজিজ (৭১ টিভি), এনামুল হক চৌধুরী, দিপক কুমার আচার্য, নাইমুল ইসলাম খান প্রমূখ।
সাংবাদিকতার আড়ালে তাদের কর্মকান্ড জাতীয় স্বার্থ এবং রাষ্ট্রবিরোধী এমনটি উল্লেখ্য করে ছাত্ররা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিয়ে জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বরাবর আবেদন জানিয়েছে। এবং সাংবাদিকতা পেশাকে পুঁজি করে জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন প্রকার দালালী যেনো পরবর্তীতে না করতে পারে সে জন্য তাদের বহিষ্কার ও জাতীয় প্রেসক্লাব অঙ্গনে তাদের আজীবন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
এর আগে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং গণ মিছিলের ডাক দিয়ে এক দফা দাবিতে ছাত্ররা মাঠে আসলে গত ৫ ই আগষ্ট ২০২৪ তারিখে স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের ভিতর দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কাছে রাষ্ট্র সংস্কারে দায়িত্ব পড়ে এবং ৮ ই আগষ্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে।