নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বিশেষ নাটক ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। প্রদর্শনীতে ২৫ মার্চ কালরাতে পলাশী ব্যারাক ফায়ার স্টেশনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম হত্যার শিকার নয় অগ্নিসেনা ও সাত ছাত্র-জনতার ওপর নির্মিত বিশেষ নাটক ‘রক্তাক্ত পলাশী’ প্রদর্শিত হয়।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তর- এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সব শহীদদের জন্য বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, সবাইকে স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে, ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবসের নৃশংসতা মনে রাখতে হবে। স্বাধীনতার মূল চেতনা- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন, তাঁর সুযোগ্য কন্যা সেই দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন। সবার সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। এজন্য সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে সততার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান। এতে সূচনা বক্তব্য দেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম। এ সময় গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা করেন উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওহিদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক (অপারেশন) মো. মানিকুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে ২৫ মার্চের ভয়াবহ কালরাতের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের নির্মম স্মৃতিকথা উচ্চারণ করেন বক্তারা। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ নয় অগ্নিসেনাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন তারা। এ সময় ২৫ মার্চ একদিন আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে যারা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন তাদেরসহ ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যার শিকার জাতির পিতার পরিবারের শহীদ সব সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।