বরিশাল অফিস: বরিশাল নগরীর সাগরদী বাজার জামে মসজীদ ও পিটিআই দেওয়াল সংলগ্ন জেলা পরিষদের রেকর্ডীয় সরকারী পুকুর ভূমি এখন দূস্যদের দখলে। ইতিমধ্যে ঐ সরকারী পুকুরটি দখলদারীরা নিজেদের নামে বিএস রেকর্ড করে নেওয়ার খবরে অত্র এলাকায় চাউর হয়ে গেছে। তবে অবৈধ দখলদারির হাত থেকে এই সরকারী পুকুরটি রক্ষায় জেলা পরিষদ বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট ভুমি অফিসে ৩০ ধারার পর ও ৩১ ধারা আপত্তি কেস দায়ের করেছে। অভিযোগ রয়েছে জোনাল সেটেলমেন্টের অসাধু অফিসারকে ম্যানেজ করে অবৈধ দখলদারীরা বিএস জরিপে ৩০ ধারায় নিজেদের নামে রেকর্ড নিয়েছে। আর এতে করে জেলা পরিষদ ৩০ ধারার বিরুদ্বে চলমান ৩১ ধারার আপত্তি কেস করেছে।
জেলা পরিষদ সূত্র জানা গেছে, রুপাতলী ৫৬ নং মৌজার ৭১১ ও ৭১২ নং দাগ। যার সিএস ও আর এস খতিয়ানের ২৬৭ ও ১৩৫৫ এবং ৯৯৬ এর ৫৪ নং শতক জমির পুকুর জেলা ডিস্ট্রিক বোর্ডের নামে। কিন্তু পরবর্তীতে ২৬৭২ নং খতিয়ান পরিবর্তিত হয়ে এসএস খতিয়ানের ১৭৭৩ নং খতিয়ান হয়। যার দাগ নং ৫০৮, ৫০৯ ও ৯৯৬। এ বিষয় জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার রিয়াজ হোসেন ২০১১ সনের ২৪ জানুয়ারী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানান।
জানা গেছে, জেলা পরিষদের ঐ সরকারী পুকুর নিজেদের নামে ফিরিয়ে নিতে তৎকালীন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয় । এতে বলা হয়েছে, সাগরদী বাজারের পুকুরটি তাদের নামে রেকর্ড ছিল। তবে এসএ রেকর্ডে অন্যদের নামে চলে গেছে । তাই জেলা পরিষদের পুকুর ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের একান্ত প্রয়োজন।
খোজ খবর ও স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, প্রায় ১০০ বছর পূর্বে অর্থাৎ তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়ার সরকার জনগনের পানি পানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় গভীর পুকুর খনন করেন। এতে সাগরদী বাজার বরিশাল ঢাকা মহাসড়কের পাশে পুকুর খনন করে দেন। ১৯৪৭ সনে ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে পাকিস্তান সরকার গঠন করেন। আর ঐ সময়ে স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এই জেলা বোর্ডের পুকুর তাদের নামে রের্কড করে নেন। পাশাপাশি এই সরকারী সম্পতির উপর স্থাপনা করে করে বছরের পর বছর ভোগ দখল করে আসছে ।
জানা গেছে, এই পুকুরটি জেলা পরিষদ কয়েক বছর বাৎসরিক ইজারা প্রদান করে রাজস্ব আয় করত। কিন্তু জেলা পরিষদের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে ঐ ইজারা থেকে দুরে রয়েছে।
এ বিষয় জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সাগরদী পুকুরটি তাদের নামে ছিল । এখন যদি কেউ অবৈধ ভাবে দখল করে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেন। আর ঐ রেকর্ডের বিষয় সেটেলমেন্ট সুরাহা না হলে দেওয়ানী আদালতে মামলা করা হবে। এমনকি মামলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।