
বাংলাদেশে আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ পাঠানো বন্ধ করে দেবে কি-না এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, আপাতত সেরকম কোনও পথে হাঁটবে না গোষ্ঠীটি। বকেয়ার অঙ্কটা বাড়লেও ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার ১,৬০০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আপাতত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছে আদানি পাওয়ার।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। ইকোনমিক টাইমসের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক চিঠিতে (ড. ইউনূসের উদ্দেশে) গৌতম আদানি লিখেছেন,
”বাংলাদেশকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করেছি। কিন্তু ঋণদাতারা এখন আমাদের ওপর কঠোর হয়েছে। আমি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে প্রাপ্য ৮০০ মিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক ছাড়পত্রের জন্য আপনার সদয় হস্তক্ষেপের অনুরোধ করছি।”
বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ যে পাওনা হয়, তা নিয়মিত ভিত্তিতে পরিশোধের জন্যও অনুরোধ জানিয়েছেন গৌতম আদানি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আট থেকে ৯ মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আদানির ৮০ কোটি ডলার পাওনা হয়েছে। ঝাড়খান্ডের গড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। নির্দিষ্ট একটি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে গত জুন থেকে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। অত্যাধুনিক প্ল্যান্ট এবং সংশ্লিষ্ট ট্রান্সমিশন অবকাঠামো নির্মাণে আদানি পাওয়ার দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে উল্লেখ করে গৌতম আদানি চিঠিতে লিখেছেন,
”আমি আপনার দেশের (বাংলাদেশ) জ্বালানি নিরাপত্তা এবং অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।”
বাংলাদেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সম্প্রদায় এবং স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সমর্থন ও সহযোগিতার প্রশংসাও করেন তিনি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
