পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে সাইফার মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। সোমবার (২ জুন) প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। সাইফার মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিলের সংক্ষিপ্ত রায়ে সাজা বাতিল করে তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। খবর দ্য ডনের।
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পিটিআইয়ের এই দুই নেতার উপস্থিতিতে দফতর গোপনীয়তা আইনের বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন সাইফার মামলায় ইমরান ও কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
পরে আদালতের ওই রায় বাতিল চেয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন পিটিআইয়ের আইনজীবীরা। সোমবার এই আবেদনে শুনানি শেষে সংক্ষিপ্ত এক রায়ে ইমরান ও কুরেশিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আইএসইচসির বিচারপতি আমের ফারুক এবং বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেবের সম্মিলিত বেঞ্চ।
তবে সাইফার মামলায় খালাস পেলেও এখনই কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না ইমরান ও কুরেশি। কারণ ইমরান খান ইদ্দত মামলায় ও কুরেশি ২০২৩ সালের ৯ মে’র মামলায় সাজা ভোগ করছেন। আজ ইদ্দত মামলাটি অন্য বিচারকের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর কুরেশি আগামী ৫ জুন পর্যন্ত রিমান্ডে আছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা জজ আদালত গত বছরের ৯ মে-তে দায়ের করা দুটি মামলা থেকে খালাস দেন ইমরান খানকে।
রায়ে বিচারক বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইমরান খানকে খালাস দেয়া হয়েছে। এর আগে, গত বছরের ৯ মে’র ঘটনায় ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলা থেকে ১৫ মে খালাস পান তিনি।