
বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ভারতগামী যাত্রীর দীর্ঘ লাইন ছিল। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে যাত্রীরা টার্মিনালের বারান্দায় উঠে যান। আর যাত্রীর চাপে টার্মিনালের গ্লাস ভেঙে একজন আর্মস ব্যাটালিয়ন সদস্যের হাত কেটে যায়। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ ও আনসার যাত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।..
আজ বুধবার (১৯ জুন) সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে অনেক যাত্রী সঙ্গে থাকা ব্যাগ ফেলে ছোটাছুটি শুরু করেন। এ ঘটনায় কিছু সময় যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকে। পরে পোর্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে প্রতিদিনের মতো বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ভারতগামী যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন ছিল।
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে যাত্রীরা লাইন ভেঙ্গে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় ওঠেন। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত যাত্রীর ঠাসাঠাসিতে টার্মিনালের সামনের কাঁচ ভেঙে একজন আর্মড পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন। এ সময় আর্মড পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীদের এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই বুধবার সকাল ৭টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ভারতগামী যাত্রীর দীর্ঘ লাইন ছিল। হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে ভিজে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে যাত্রীরা লাইন ভেঙে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় উঠে যান। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত যাত্রীর ঠাসাঠাসিতে টার্মিনালের সামনের গ্লাস ভেঙে একজন আর্মস ব্যাটালিয়ন সদস্যের হাত কেটে যায়।
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে আর্মস ব্যাটালিয়নের পুলিশ ও আনসার সদস্যরা যাত্রীদের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সময় যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকে।
ঢাকার পাসপোর্টধারী যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সকাল ৭টায় ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ সামান্য বৃষ্টি শুরু হলে লাইন থেকে সরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় উঠি। এ সময় আর্মস পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আমাদের এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। পরে জানলাম একজন পুলিশ সদস্য ভাঙা কাচে সামান্য আহত হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীদের লাঠিপেটা করেছে।’ পাসপোর্টধারী যাত্রী আনন্দ মণ্ডল বলেন, ‘বৃদ্ধ বাবা-মা ও শিশুদের নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর কষ্ট পুলিশ ও আনসাররা বুঝবে কী করে। তারা তো টাকার বিনিময়ে লাইন ছাড়া লোক পার করার কাজে ব্যস্ত থাকে।
বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দেখা উচিত।’ বেনাপোল বন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্মস ব্যাটালিয়নের ইনচার্জ বাদল চন্দ্র বলেন, ‘আজকে যাত্রীর অনেক ভিড় ছিল। এ কারণে তাদেরকে লাইনে আনতে গিয়ে হয়তো কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমার সদস্যরা কারও ওপর লাঠিচার্জ করেনি।’
