
বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশছাড়ার পর দেশজুড়ে দুর্বৃত্তের হামলায় পুলিশ শূন্য থানা। এতে বন্ধ রয়েছে নাগরিক সেবা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত এসব থানা পাহারায় কাজ করছেন আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীরা। মাদারীপুরের পাঁচটি থানায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে সেগুলো পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে।
শেষে পাহারা দেন আনসার সদস্যরা। কুষ্টিয়া মডেল থানা ও সার্কেল অফিসেও চলে তাণ্ডব। পাঁচ আগস্টের পর থেকে পুলিশ নেই ফেনীর থানাগুলোতে।
এছাড়া, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নোয়াখালী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার থানাগুলোতে হয় হামলা। হত্যা করা হয় পুলিশকে। লুণ্ঠিত হয় অনেক অস্ত্র।
এদিকে থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা জানান, যেসব থানায় আপাতত প্রশাসন নেই সেখানে আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ধ্বংসস্তুপ সরানোসহ পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, দুর্বৃত্তরা থানায় ভাঙচুর-লুটপাট ও অগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাই এখন আমরা থানাকে আগের মতো রুপ দিতে কাজ করছি।
জননিরাপত্তায় কাজ করতে পুলিশকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন। তিনি জানান, আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। আমরা অনেক সময় অনেকভাবে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে যেসমস্ত ঘটনা ঘটে তা সব সময় যে পুলিশ সদস্যের ইচ্ছাই ঘটে তা কিন্তু।
