
ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিনের দরুন বাজার এলাকার দিন মজুর আলী হোসেন মিয়ার পরিবার স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু জলিল বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত ভূমিহীন হওয়ায় এক একর বন্দোবস্তীয় জমি পেয়েও তারা ভোগ দখল করতে দস্যু বাহিনীর বাধার সম্মূখীন হচ্ছেন। এসমস্ত ক্যাডারদের বিরুদ্ধে ভোলা ও ঢাকার আদালতে বহু নাশকতা আর জোড় জবরদস্তীর মামলায় সাজা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকলেও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেমে নেই। নিজেদের সন্ত্রাসীলীলা আড়াল করতে এবাহিনী কখনো সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াতে নানা কৌশল নিয়ে থাকে বলে প্রমাণ রয়েছে। মামলা সূত্র ও ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, ভূমিদস্যু নেতা আঃ জলিলের নেতৃত্বে তার ছেলে হারুন, বিল্লাল, রাসেল, পুত্রবধু বিউটি বেগম ও ময়না বেগম সহ পরিবারের একটি বিরাট অংশই বোরহানউদ্দিনের রায়কেশর গ্রামের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মাদক ব্যবসা, লুন্ঠন, নৌ-ডাকাতি আর ভূমি দস্যুবৃত্তি এদের পেশা। সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আলী হোসেনের ভূমিহীন বাবা আব্দুল মান্নান ও মাতা ছালেহা খাতুন ১৯৮৮ সালে বোরহানউদ্দিনের রাম কেশর মৌজার বন্দোবস্ত ৩১৪ নং খতিয়ান হতে এক একর জমি বরাদ্দ পান। যার বন্দোবস্ত কেইস নং ২২ বিএস/৮৮-৮৯। কিন্তু স্থানীয় ভূমিদস্যু জলিল বাহিনী একটি ভুয়া কাগজ তৈরী করে ওই জমি হতে ২৪ শতাংশ নিজের দাবী করে নানা রকম দাঙ্গা-ফ্যাসাদ অব্যহত রেখেছে। এসব ঘটনাগুলোতে জমির মালিক মন্নান মিয়া ও তার স্ত্রী বাদী হয়ে ওই সমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বহু মামলা করলেও খ্যান্ত হননি ক্যাডাররা। বন্ধ হয়নি দস্যুদের দাঙ্গাবাজী। সূত্র মতে, জমির মালিক মন্নান মিয়ার ছেলে আলী হোসেন ঢাকার লালবাগের এ/পি ১৬৬ নং বাসায় বসবাস কালীন ২০১৮ ইং সালে ২৬ জুন লালবাগের ১৬৫ নং বাসার সামনের রাস্তার উপর প্রকাশ্য দিবালোকে এ সময় সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় লালবাগ থানায় আলী হোসেন জলিল গংদের মোট ৭ জনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই মামলায় হারুন, বিউটি বেগম ও রাসেল গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর কারাগারে জেল খাটেন। বেশ কিছুদিন পর জামিনে বেরিয়ে একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের কাছে ভূল তথ্য দিয়ে দিন মজুর আলী হোসেনের পরিবারের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করান। সংবাদে লালবাগের নির্ধারিত এলাকার কতেক ব্যক্তি আলী হোসেনকে চেনেন না বলা হলেও তিনি ওই এলাকাতেই বসবাস করছেন। সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে সেখানকার হোটেল বাবসায়ী কালাম, দোকানী কাশেম এবং ভ্যান চালক ফরিদ ও স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজ জানান, আলী হোসেন দীর্ঘ বছর যাবত ১৬৬ নং বাড়িতে বসবাস করছেন। এদিকে বোরহানউদ্দিনের রায়কেশর গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার কবির খান জানান, জলিল মিয়া ও তার ছেলেরা ভূমিদস্যু-জালিয়াতচক্র। সেখানকার বাসিন্দারা জানান, আব্দুল মান্নান মিয়ার বন্দোবস্তীয় জমির জাল কাগজ সৃষ্টি করে তা দখলে রেখেছেন লাঠিয়ালরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারী ভূমি দপ্তর, ডিবির তদন্ত ও থানা পুলিশের সমস্ত গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে জলিল গংদের সৃষ্টি করা ডিড ডকুমেন্টগুলো জাল-জালিয়াতি বলে প্রতিবেদন দেয়া হয়। তবুও থেমে নেই ভূমিদস্যুদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও তান্ডবলীলা। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আলী হোসেনের পরিবার এ সমস্ত দস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
