অনলাইন ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জে কারেন্ট জালের কারখানা খুঁজতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। সাদা পোশাকে অভিযান চালাতে গেলে ডাকাত সন্দেহে তাদের ওপর হামলা চালায় গ্রামবাসী।
এতে পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাম্মেল হোসেন, এসআই নজরুল ইসলাম, ফরিদুজ্জামান, খশরু, মাইনদ্দিন, এএসআই জাকির, কনস্টেবল রায়হানসহ ৯ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে তিনজনকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মালিপাথর এলাকার এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, একাধিক মামলার আসামি ইমরান হোসেন ও তার ভাই সম্রাট সুতার কারখানার আড়ালে কারেন্ট জাল তৈরি করছেন বলে তথ্য ছিল। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেই কারখানায় অভিযান চালাতে গেলে এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে গ্রামবাসী একজোট হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় অভিযান স্থগিত এবং আত্মরক্ষার্থে ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, হঠাৎ সাদা পোশাক পরা একদল লোক এলাকায় ঘোরাফেরা করলে ইমরান মেম্বারের নির্দেশে স্থানীয় মসজিদের মাইকে গ্রামে ডাকাত পড়ার কথা বলা হয়। এতে সবাই মিলে তাদের প্রতিরোধ করে। পুলিশের পোশাক পরে অভিযান চালালে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটত না।
সাদা পোশাকে অভিযান চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, পুলিশের পোশাক দেখার পরও তারা হামলা চালায়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব খান জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এতে ইমরান মেম্বার, তার ভাই সম্রাটসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হবে।