
গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর কোনাবাড়ীতে পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (১০ই মার্চ) সন্ধ্যায় কোনাবাড়ী থানাধীন পারিজাত এলাকার এক ঘটনায় কোনাবাড়ী থানার এস আই সাইফুলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া যায়।
কোনাবাড়ী পারিজাত এলাকার বাসিন্দা মঞ্জু শিকদার জানান, রাতে তার বাড়িতে কিছু দিনমজুর শ্রমিক কাজ করছিলেন। দিনমজুরের টাকা পরিশোধ করার জন্য বাসার সামনে একটি দোকানে দাঁড়ায় মঞ্জু সিকদার। ঘন্টা খানেক পরে পিক রফিক নামে এক মাদক ব্যবসায়ী ওই দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ান এবং একটি পানির বোতল কিনে।ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ও তার টহল পুলিশ নিয়ে ওই দোকানের সামনে এসে পিক রফিককে মাদকসহ গ্রেফতার করেন।
এসময় এস আই সাইফুল ইসলাম মঞ্জু সিকদারকে ডেকে নিয়ে টেনে হিঁচড়ে জোর করে পুলিশের গাড়িতে তুলে। ওই সময় মঞ্জু সিকদার পুলিশের কাছে জানতে চায় আমার অপরাধ কি, এস আই সাইফুল তাকে বলেন তোমার কাছে এক বোতল ফেনসিডিল পাইছি।
মঞ্জু সিকদারের দাবি আমার কাছে কোন ফেনসিডিল ছিলো না। পুলিশ আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার পকেটে থাকা ১৪০০০ টাকা জোর করে নিয়ে যায় এবং এক লাখ টাকা দাবি করে।
ঔ সময় উপস্থিত থাকা মঞ্জু সিকদারের বন্ধু সেলিম জানান, আমি মঞ্জু সিকদারকে রেখে দেওয়ার জন্য প্রথমে বিশ হাজার টাকা দেই কিন্তু এস আই সাইফুল ইসলামের দাবি এক লাখ টাকা দিতে হবে। উপস্থিত পাশে থাকা কিছু ব্যক্তিরা বলেন, যেভাবে হোক মঞ্জুকে রেখে দেন না হয় কিন্তু আদালত বন্ধের কারনে আগামী ছয় মাসেও জামিন হবে না।
পরে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে নগদ ৫০হাজার টাকা এবং উপস্থিত থাকা মঞ্জু সিকদারের বন্ধুর কাছ থেকে ৫০হাজার টাকার একটি চেক নেন। যা চুক্তি ছিল টাকা পরিশোধ করে চেক নিয়ে যাবেন। অন্যদিকে কিছু দিন আগে রুবেল নামের এক ব্যক্তিকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে তার কাছে ২লাখ ১৫হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন এস আই সাইফুল ইসলাম। কোনাবাড়ী থানার বিভিন্ন এলাকায় তার বিরুদ্ধে এরকম বহু অভিযোগ রয়েছে।
মোবাইল ফোনে তার কাছে মঞ্জু সিকদারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন তার কাছে কোন কিছু পাওয়া যায়নি তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমি শুধু পিক রফিককে মাদকসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তার কাছে টাকা এবং চেকের লেনদেন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এরকম কোনো কিছুই আমার সাথে হয়নি। ওখানে যারা উপস্থিত ছিল তাদের কাছে আপনি জেনে নিতে পারেন।
এব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান, এই বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
