রাজধানীর মিরপুর কমার্স কলেজের পাশে জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮) নামের এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। রাজিন ওরফে সামি নামে এক শিক্ষার্থী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। তারা দু’জনই মিরপুর কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। নিহত রাফিতের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে।
জানা গেছে, চিড়িয়াখানা রোডের কমার্স কলেজের পাশে হাউজিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোয়ার্টারের তিনতলায় রাজিনদের বাসা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই বাসায় জুবায়ের ও রাজিনের মারামারি হয়।
এক পর্যায়ে রাজিন ধারাল অস্ত্র দিয়ে জুবায়েরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে শাহআলী থানা পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। রাতে লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। শাহ আলী থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান জানান, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। হত্যার নেপথ্যের কারণ জানতে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আবু মাসুদ বলেন, ঘটনা জানার পরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে। তবে তারাও হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে পারেননি। নিহত জুবায়েরের মামা নুরুজ্জামান বলেন, জুবায়ের মিরপুরে আমার বাসায় থেকে পড়ালেখা করে। সকালে কোচিং করার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে আর বাসায় না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়।
সন্ধ্যায় কলেজের এক শিক্ষক জানান, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসে দেখি আমার ভাগিনা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি জানান, কিছুদিন আগে কলেজের কিছু বন্ধুর সঙ্গে জুবায়েরের ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় কলেজের শিক্ষকরা মিটমাট করে দিয়েছিলেন। তখন শিক্ষকরা তাকে বলেছিলেন তার বন্ধুরা ভালো না। তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে। তারাই জুবায়েরকে হত্যা করেছে বলে ধারণা নুরুজ্জামানের। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জুবায়ের ছিল সবার বড়।