আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লকডাউন, একটা যানবাহন নেই। জরুরি পরিষেবা চালু থাকার কথা বলা হলেও পাওয়া গেল না একটা অ্যাম্বুলেন্সও। ছোট্ট ছেলেটার নিথর দেহ বুকে চেপে ধরে উদভ্রান্তের মতো দৌড়ে বেরালেন তারা। তবু পেলেন না কোনও অ্যাম্বুলেন্স।
শুক্রবার ভারতের বিহারের জেহানাবাদের একটি সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাদের ছেলের। রাজধানী পটনা থেকে জেহানাবাদের দূরত্ব ৪৮ কিমি। ওই শিশুর বাবা-মা বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে তারা তাদের ছেলের চিকিৎসা করাতে পারেননি।
ওই মৃত শিশুর বাবা গিরেজ কুমার বলেন, তাদের ৩ বছরের পুত্রসন্তান গত দু’দিন ধরে খুব অসুস্থ । শাহপুর গ্রামের স্থানীয় চিকিৎসক তাদের বলেন, অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। জেহানাবাদের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই শিশুকে। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় পাটনা মেডিকেল কলেজে। কিন্তু অ্যাাম্বুলেন্স জোগড় করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর সমস্যার সম্মুখীন হন তারা।
লকডাউনের জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে পারেননি অসহায় বাবা-মা। অভিযোগ, হাসপাতালের তরফেও কোনও রকম সাহায্য করা হয়নি তাদের। শেষ পর্যন্ত বাবা-মা’র চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নিষ্পাপ প্রাণটি।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোস্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যায়, ছেলের মৃতদেহ জড়িয়ে এক নাগাড়ে কেঁদে চলেছেন মা। পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাবা।
তাকে কোনও সাহায্য লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করেন এক ব্যক্তি। তার উত্তর, ‘‘আর অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আমরা কী করব?’’ এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। ওই হাসপাতালের এক ম্যানেজরকে বরখাস্ত করা হয়। শো-কজ করা হয় কয়েকজন চিকিৎসককেও।