তদন্ত চিত্রঃ নাম তার মুফতি সারোয়ার হোসাইন। বাংলাদেশের মঙ্গাপীড়িত এলাকার চর ভানুডাংগা গ্রামের কাজীপুর উপজেলার সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্ম। পড়ালেখা একটি এতিমখানা মাদ্রাসায়। ক্ষুধা আর দারিদ্রতা যার নিত্যসঙ্গী ছিল। ২০০৪ সালে বিক্রম আদিত্যের রাজধানীতে এসে তিনি রাজা বনে গেছেন। বিগত বার বছরে মুন্সীগঞ্জ জেলা যেন তার ভাগ্যের দুয়ার খুলেছে। তিন-তিনটি বউ নিয়ে তার অবাধ কেলেংকারী কেউ যেন তাকে কিছু বলার নেই। ছাত্র জীবনে জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে স¤পৃক্ত থেকে আড়ালে বর্তমান সরকারের আস্থাভাজন এই চতুর লোক সকলকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে ফায়দা লুটছেন অবৈধ ভাবে। কখনো ডিজি শামীম মো:আফজাল এর আত্মীয় বা শ্যালক। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অফিসের নাম ব্যবহার করে আবার কখনো মন্ত্রী/আমলাদের নাম ব্যবহার করে সকলকে জিম্মি করে অপরাধের জগতে একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেছেন। ডি.সি/এস.পি যেই হোক তার পকেটের লোক বলে প্রচার ও প্রকাশ করেন তিনি নিজেই। কেউ তার কিছু করতে পারবে না তার হাত নাকি অনেক উপরে এমন উক্তিও করেন এলাকায়। এতিমখানায় বড় হওয়া এই চতুর মুফতি হোসাইন এর অর্থের উৎস কি? কার দাপটে তিনি এত ক্ষমতাধর ? কোনো জঙ্গী গোষ্ঠীর সাথে তার আতাঁত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। তার হুংকারে ভীত তার অফিসের কর্মকর্তা ও সাধারন কর্মচারী। এই নারীলোভী, চরিত্রহীন, ঘুষখোর, যাকাতখোর, ল¤পট লোকদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়েছে অনেকেই। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অন্যতম। মুন্সীগঞ্জ জেলার এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অনিয়মের মূল হোতা হচ্ছে মুফতি সারোয়ার। তার অন্যতম প্রমান এক অফিসেই বার বছর চাকুরির অবস্থান। সাধারন কর্মচারীরা অনেকেই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে এই অত্যাচারী মুফতি সারোয়ারের জুলুম নির্যাতন থেকে অব্যহতি পাওয়ার জন্য দোয়া করছেন বলে জানা গেছে। তার ভয়ে সাধারন কর্মচারীরা কোণঠাসা হয়ে থাকেন। অপরাধের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে। সারোয়ার হোসাইন নিজেকে ডিডি পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সারা জেলা-উপজেলা। কোনো অপরাধ, কেলেংকারী, দুর্নীতি, ঘুষ তার কাছে সাধারন একটা বিষয় বলে তিনি মনে করেন। জেলা প্রশাসনকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, অনিয়ম করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন তিনি। সরকারের বিশেষ সংস্থা ডিবি, এসবিসহ ,দুদক তদন্ত করলে এই দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর স¤পর্কে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে এবং আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও শাস্তি প্রদান সম্ভব। এরকম মুফতি সারোয়ার হোসাইনরা দেশদ্রোহী সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক। মুন্সীগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুন্সীগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি সারোয়ার হোসাইনের ইসলাম বিরোধী অনৈতিক কার্যাবলি ও নারী কেলেংকারী প্রকাশিত হলে নারী কেলেংকারী ও বহু-বিবাহ, তালাক তার পেশাদারি চরিত্র। ঘুষ কেলেংকারিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সমগ্র বাংলাদেশের সেরা বা প্রথম স্থানে রয়েছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেন বলেন, যাকাত কেলেঙ্কারিতেও প্রথম স্থান অধিকারী মুফতি সারোয়ার হোসাইন। প্রমান স্বরূপ ঘুষ ও যাকাতের কেলেংকারির টাকায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ব্যক্তিগত ভাবে মাদ্রাসা নির্মান, জেলা শহরে বিঘায়-বিঘায় জমি ক্রয় এবং গ্রামের বাড়িতে ও ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গাতে আলিশান ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মান ও ক্রয় করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন খোঁজ নিলে বেরিয়ে আসবে আরও অজানা ও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডিডি বা উপ-পরিচালক পরিচয়ে ২০০৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একচেটিয়া আধিপত্য মূলত মাস্টার ট্রেইনার থেকে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে একযুগে আংগুল ফুলে কলা গাছে রুপান্তর এর রহস্য কোথায়? অবৈধ কেন্দ্রে নিজের পছন্দ মত নিয়োগ দিয়ে লুটপাট করেছেন কোটি কোটি টাকা। বাজারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই বিক্রি থেকে শুরু করে এমন কোনো অনিয়ম নেই যে তিনি করেন নি। আয়াতুন নেসা মহিলা মাদ্রাসা মুন্সীগঞ্জ সদর রোডে কলিমুল্লাহ বিল্ডিং এ যেখানে তার বহু-বিবাহিত একাধিক বউ দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। স্ত্রীর সংখ্যা তিন জন। যার মধ্যে প্রথম স্ত্রী: নুরুন নাহার মুক্তা (মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক) দ্বিতীয় স্ত্রী: আঞ্জুম আরা বেগম (মানিকপুরে বাসা) তৃতীয় স্ত্রী: নূর জাহান বেগম। অবৈধ কেন্দ্র যাদের নামে দেওয়া হয়েছে ১) তানজিলা আক্তার, ২) মোঃ আব্দুস সুবহান, ৩) মোঃ ওয়ালীউল্লাহ, ৪) মোঃ বায়েজিদ, ২০১৫ সালে ২৭০ শিক্ষকের কাছ থেকে পঁচানব্বই হাজার টাকা যাকাতের নামে আদায় করে সরকারি ফান্ডে না নিয়ে উক্ত টাকা তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় দেখানো হয়। প্রতি মাসে সাব-ক্লাসটার ট্রেইনিং থাকে ১৮ দিন, বিগত ১২ বছরে কোনো ক্লাস নেয়া হয়নি। উপজেলায় তার থাকার কথা থাকলেও তিনি জেলায় প্রভাব খাটিয়ে অত্র ফাউন্ডেশনের বিল্ডিং এর পশ্চিম পাশে বসে ঘুষ বানিজ্যে দেশের শীর্ষে অবস্থান নিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নামে কলংক লেপে দিয়েছেন। ( ধারাবাহিক চলবে)