অনলাইন ডেস্কঃ রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনও বালাই ছিল না রাজধানীর শপিংমল গুলোতে। করোনা ভীতি উপেক্ষাই সাধারণ মানুষ ব্যস্ত ঈদ কেনাকাটায়। পছন্দের জিনিস কিনতে এক শপিংমল থেকে অন্য শপিংমলে ছুটছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি জানিয়েছে, যারা পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারা ঠিক কাজ করছেন না।দোকান মালিকরা সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দোকান বন্ধ করে দিবেন বলেও হুশিয়ার দেন। আরো কঠোর হওয়ার হুশিয়ারি দিলেও দোকান মালিক সমিতির তেমন কোন কার্যকরী ভূমিকা নাই শপিং মলে। চলমান লকডাউনে রাত ৮ টা পর্যন্ত মার্কেট ও শপিং মল খোলা রাখার বিধিনিষেধ থাকলেও তা এখন রাত ১২ টায় গিয়ে ঠেকছে। শপিং মল ও মার্কেট কেনাকাটার জন্য ক্রেতা প্রবেশ মুখে মনিটরিং এর ব্যবস্থা রাখার কথা থাকলেও তা নেই।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে শপিং মলের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। এছাড়া পেট্রোলিং ব্যবস্থা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা সঠিকভাবে মাস্ক পরছেন না। শপিংমলগুলোর প্রবেশ দ্বারে কিছু মনিটরিং থাকলেও ভেতরে তার বালাই নেই। ইফতারের সময় গাদাগাদি করে মাস্ক খুলে খেতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন মার্কেট ও শপিং মল বন্ধ রাখার পরে রবিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে সব দোকান-শপিং মল খুলে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিং মল খোলা রাখার কথা বলা হলেও পরে সময় বাড়িয়ে রাত ৮টা করা হয়।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও কেন মানা হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানার ঘোষণা দিয়ে দোকান, বিপণিবিতান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সুযোগ পেয়েছি। সবাইকে মাস্ক পড়তেই হবে। তবে এখনও যারা পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারা ঠিক কাজ করছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আমরা এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবো। যদি জানতে পারি, যে বা যারা পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, তাদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। যেসব দোকান বা বিপণিবিতান, মার্কেট স্বাস্থ্যবিধি মানবে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের যেকোনও শাস্তি দিলে দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনও আপত্তি তুলবে না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)'র এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে নিয়মিত জানতে চাওয়া হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মলের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। এছাড়া পেট্রোলিং ব্যবস্থা রয়েছে।