ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে। থানা ও ফাঁড়িতে হামলার পর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, লুট হওয়া ১ হাজার ৮১৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সারা দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১ হাজার ৮১৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৮৭ হাজার ৪০ রাউন্ড গুলি, ২ হাজার ৬৪৭ টিয়ার শেল এবং ২৯২ সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার চলছে। কারো কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলে থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দেশে ব্যাপক সহিংসতার পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেছেন, “ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি পুড়েছে, অনেক পুলিশ সদস্য হতাহত হয়েছেন।
ফলে এখনও অনেকটা আতঙ্কে আছেন পুলিশ সদস্যরা। তাই পুলিশ পূর্ণরূপে ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে।” পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলছে, হামলা ও নাশকতায় দেশের পাঁচ শতাধিক থানার কার্যক্রমে এখনও কোনও গতি আসেনি। ফলে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ না থাকায় সামাজিক অপরাধ বাড়ছে। তবে সেনাবাহিনী সার্বিক শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশকে সহযোগিতা করছে।
এ অবস্থায় পুলিশকে নতুন নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সারা দেশের থানাগুলোতে মামলা, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও এফআইআর দ্রুত নিতে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার তদন্তে বিলম্ব না করার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।