
জেলা প্রতিনিধি: মাদারীপুরের শিবচরে কতিপয় প্রভাবশালী ও শিবচর থানার ওসি মোঃ জাকির হোসেন মোল্লার মদদে দৈনিক সকাল বেলা পত্রিকার (স্টাফ রিপোর্টার) সাংবাদিক মীর মফিজুল ইসলাম ইমরান কে একটি গোপন আস্তানায় আটকে রেখে তাকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
শারীরিক নির্যাতন শেষে তাকে চুরি, চাঁদাবাজি এবং হুমকির মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সাংবাদিক মীর ইমরান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জেলে পাঠিয়ে শান্ত হননি ওই প্রভাবশালী মহল এবং ওসি। জেলে পাঠিয়ে দেয়ার পরেও একটি মিথ্যা বানোয়াট মারামারি মামালা সাজিয়ে আমাকে জড়িয়ে দেয়া হয় এবং আমাকে হাজতে পাঠিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড চান ওই ওসি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ই এপ্রিল দিবাগত রাতে। সাংবাদিক মীর মফিজুল ইসলাম ইমরানের বাড়ি শিবচর থানাধিন ডিগ্রির চর এলাকায়।
তিনি আরও বলেন, আমাকে জেলে পাঠানোর পরে ওই ওসি তার এক এস,আই আমির হোসেন সেরনিয়াবাত এর মাধমে আমার পিতা মীর মোতালেব কে মোবাইল করে থানায় আসতে বলেন। পরে আমার পিতা শিবচর থানায় গেলে আমার অসহায় দরিদ্র পিতার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করেন। এস,আই আমার বাবাকে বলেন টাকা দিলে আপনার ছেলের কিছু হবেনা। আমরা আপনার ছেলের মামলাটি উঠিয়ে নিবো। আর যদি টাকা না দেন তাহলে আমরা আপনার ছেলের নামে আরও মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবো বলে হুমকি দেন। আমার অসহায় পিতা নিরুপায় হয়ে তার দাবীকৃত টাকা তাকে দেন। কিন্তু টাকার দেয়ার পরেও আমার মামলা তুলে নেয়া হয়নি। উল্টো আমাকে আরো ফাঁসানোর পাঁয়তারা করেছেন তারা।
পরে আবার পিতাঃ মীর মোতালেব নিরুপায় হয়ে মাদারীপুর জেলা জজ কোর্টে আমার মামলার জন্য আদালতে জামিন চান। অনেক চেষ্টার পরে ২রা মে আমার জামিন দেন মাদারীপুর জেলা আদালত। পরক্ষনে আমি ২৩ দিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়িতে আসলেও আমি আমার এলাকায় শান্তিতে বসবাস করতে পারছিনা। আমাকে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এ সময় সাংবাদিক মীর মফিজুল ইসলাম ইমরান এই মিথ্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে শিবচর থানার ওসি মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন বলে জানান। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
