উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে—সম্প্রতি দেশের কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও উদ্বেগও তৈরি হয়।
তবে এই তথ্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য কোনো ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।
সরকারের দায়িত্বশীল এই দফতর গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ভিসা সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য আমিরাতের দূতাবাস বা সরকারি সূত্রেই নির্ভর করতে নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর ফলে ভিসা ইস্যুতে বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল, তা নিরসন হলো বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে প্রেস উইং ফ্যাক্টস এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, বিভিন্ন প্রতিবেদনে গত ১৭ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ওয়েবসাইট ‘ইউএইভিসা অনলাইন’-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, অভিবাসন সংক্রান্ত একটি সার্কুলারে বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার নয়টি দেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবিটি মিথ্যা।
প্রেস উইং বলছে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ স্পষ্ট করে বলেছেন, আমিরাত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ধরনের কোনও বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি।’
তারেক আহমেদ বলেছেন, পোস্টটি ভিসা সেন্টারের নিজেদের একটি বিদ্বেষপূর্ণ অপচেষ্টা হতে পারে।
তারেক আহমেদ জানান, ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরকারি ছুটির দিন। তাই দূতাবাস ২২ সেপ্টেম্বর আমিরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হবে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার দাবিটি একটি বেসরকারি ভিসা ওয়েবসাইট থেকে উদ্ভূত। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।