টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। উইন্ডিজের দেয়া চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে নেমে সল্ট-বেয়ারস্টো তাণ্ডবে সহজেই জয় তুলেছে ইংল্যান্ড। চলতি আসরে প্রথম হারের মুখ দেখল স্বাগতিক উইন্ডিজ।
ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকালে টসে জিতে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ে পাঠান ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক দল। জবাবে ১৫ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।
ব্যাটে নেমে পাওয়ার প্লেতে ক্যারিবীয়দের চেয়েও দারুণ করে ইংল্যান্ড। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৮ রান আসে দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও জস বাটলারের ব্যাট থেকে। ২২ বলে ২৫ রান করে রোস্টন চেজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার বাটলার। মাঝে আন্দ্রে রাসেলের বলে ১০ বলে ১৩ রান করে মঈন আলী ফিরে গেলে হাল ধরেন আরেক ওপেনার সল্ট। সল্ট ও জনি বেয়ারস্টোর মারকুটে ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগোতে থাকে ইংল্যান্ড। ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৫ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন সল্ট। তাকে সঙ্গ দেয়া বেয়ারস্টোও খেলেন দুর্দান্ত ইনিংস। অপরাজিত থেকে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি। অনায়াসে জয়ের বন্দরে নোঙর করে জস বাটলারের দল।
এর আগে ব্যাটে নেমে শুরুটা দারুণ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে আসে ৫৪ রান। দলীয় ৪০ রানের রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। ১৩ বলে ২৩ রান আসে তার ব্যাটে। পরে নিকোলাস পুরানকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জনসন চার্লস। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৫৪ রান। দলীয় ৯৪ রানে মঈন আলীর বলে ব্রুকের হাতে ধরা পড়েন চার্লস। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৩৪ বলে ৩৮ রান। পরে অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে এগিয়ে যান পুরান। এ জুটিও পায় রানের দেখা। ১৩৭ রানে লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে তুলে মারতে গিয়ে মার্ক উডের হাতে ধরা পড়েন পাওয়েল। ১৭ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে শেরফান রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড ঝড়ে ১৮০ রানের পুঁজি পায় ক্যারিবীয় দল।