স্টাফ রিপোর্টার: মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইমরোজ হোসেন জিহাদকে মিথ্যা মামলা ও সামাজিক ভাবে হয়রানী করছে (সাবেক স্ত্রী) মাহাবুবা ইসলাম অনামিকা। তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ সামাজিকভাবে ক্ষতি ও হয়রানি করার জন্য এসব করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এসবের নেপথ্যে রয়েছে অনামিকার দুলাভাই। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করেছেন ভুক্তভোগি। তথ্যমতে,২০১৩ সালের ২৮ জুন ২৫ লাখ টাকা দেনমোহর (উসুল) এর বিনিময়ে ইন্দিরা রোডের বাসা নং ৫২/এ এর মরহুম আমিরুল ইসলামের কন্যা মাহবুবা ইসলাম অনামিকার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন ভাল থাকলেও একটা সময় বনিবনা হচ্ছিল না। ছোট-খাঠো বিষয় নিয়ে নিয়মিত ঝগড়া করতো এবং রাগ করে প্রায়ই দুলাভাই ও মায়ের বাড়িতে গিয়ে থাকত অনামিকা। একপর্যায় তা স্বভাবে পরিণত হয় অনামিকার।
ফলে ১৭ সালে ১৫ নভেম্বর ফের জিহাদের অনুপস্থিতিতে অনামিকা ৭টা লাগেজ ভর্তি জিনিষপত্র নিয়ে দুলাভাইর বাসায় চলে যায়। যা বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে বলে জানান ভুক্তভোগি পরিবার।
অভিযোগে জানা গেছে, তিন বোনের মধ্যে অনামিকা ছোট। সে চঞ্চল প্রকৃতির সুন্দর ও একজন উচ্চ বিলাসী এবং জিদ্দি মেয়ে। উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন তার পছন্দ। সে বিয়ের আগে যে ভাবে বয়ফ্রেন্ডদের নিয়ে আড্ডা করত। রাতভর নেশা করে পার্টি করত। বিয়ের পরও সে স্বামীকে না জানিয়ে বয়ফ্রেন্ডদের নিয়ে সে বেড়াতে ও একই ভাবে চলাফেরা করে। তার মনগড়া চলাফেরায় বাধা দেয়ায় সংসারে সৃষ্টি হয় একের পর এক ঝামেলা। জানা গেছে, অনামিকার সাথে অনেক রাঘব বোয়ালদের সুসম্পর্ক থাকায় সে কাউকেই তোয়াক্কা করেন না। তার সার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে। আর খুব সহজে মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট বা আয়ত্তে আনতে পারে সে। এটাই তার বড় হাতিয়ার।
তার উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন থেকে তাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে পারিবারিক ভাবে বসে আপোষ মীমাংসার আহ্বানকে গ্রহণ না করে প্রত্যাখান করে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি ও নানা কৌশলে মানষিক চাপ সৃষ্টি করে অনামিকা। ব্যর্থ হয় ভুক্তভোগি পরিবার।
ফলে অতিষ্ট হয়ে গত বছর ১১ এপ্রিল মুসলিম পারিবারিক আইন অুনযায়ী সকল নিয়ম মেনে তালাক প্রদান করেন। এর পর ১২ তারিখ নোটিশ প্রদান করে। সিটি করপোরেশনের শালিশী আদালতের মাধ্যমে গত বছরের ২১ জুলাই তালাক কার্যকর হয়েছে। তালাকের বিষয়ে গত বছর ৫ আগষ্ট বিশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) এ তথ্য অবহিত করেন।
এদিকে অনামিকা ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছর ১৫ জুলাই জিহাদের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার একটি মানহানি মামলা করেন এবং বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়ে আসছে। এরপর মিথ্যা তথ্য দিয়ে আরো একটি মামলা করেন আদালতে। উক্ত মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেটকোট তদন্তর জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দেন। পিবিআই অনুসন্ধান শেষে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করে পিবিআই। এতে বেরিয়ে আসে মামলাটি সত্য নয়। হিন উদ্দেশ্যে মামলাটি করেছে বাদি। এবিষয়ে অনামিকার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটু ব্যস্ত আছি, আমি আপনাকে ৫মিনিট পরে ফোন করি। এর পর সে আর ফোন করেনি।
বর্তমানে জিহাদ ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি ও তার পরিবার।
বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে একাধিক ছবিসহ আরো বিস্তারিত তদন্ত চিত্র পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।