নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্তের ই/এম- ৬ বিভাগের দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাসের বিরুদ্ধে তার অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চিত্রে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করার পর অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিনা ভোটের সাবেক এমপি মির্জা আজমের আস্থাভাজন এ কর্মকর্তা এতোই বেপরোয়া যে অধিদপ্তরের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তার নির্দেশও মানেন না। নিজের খেয়ালখুশি মতো যা ইচ্ছে কাজ করে যাচ্ছেন। এদিকে সময়ের পালাবদলে তিনিও তার বোল্ড পাল্টিয়ে নব্য বিএনপির তকমা লাগতে শুরু করেছেন। এ জন্য বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অসাধু ও অসৎ নেতাকর্মীদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে নিজের আত্মীয় বানিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত চিত্র অনলাইন ভার্সনে "গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র'র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা হত্যায় অর্থ সরবরাহের অভিযোগ!" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হলে স্বৈরাচার হাসিনার দোসর ও ভোট বিহীন সাবেক এমপি মির্জা আজমের আস্থাভাজন খ্যাত গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস ছুটে যান বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অসাধু নেতাদের কাছে। ছাত্র-জনতা হত্যার মাষ্টার মাইন্ড স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের অর্থদাতা পবিত্র কুমার দাস এর অপকর্মের সংবাদ বন্ধ করতে তথাকথিত বিএনপি করা ডজনখানেক নেতা তদ্বির শুরু করেছেন। কেউ এসে পবিত্র কুমার দাসকে নিজের খুব ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। আবার কেউ ভবিষ্যতে পবিত্র কে দিয়ে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তদ্বির করেছেন। কেউ কেউ পবিত্র কুমার দাসের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে মিমাংসা করবেন বলে বানী শোনাচ্ছেন।

প্রশ্ন উঠেছে, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসরদেরকে নিরাপত্তা বা পুর্নবাসন করতে কি বিএনপি রাজনীতি করে। যদি তা না হয় তাহলে এই কথিত নেতারা কোন কারনে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গুলি-বোমা ও হামলাকারীরাদের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করা ব্যক্তির অপকর্মের সংবাদ বন্ধ করতে চায়।