জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) এটি কার্যক্রমে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া রায়ের কপি কেন্দ্রীয় কারাগারের রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কাছেও পাঠানো হবে।
এর আগে, সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফাঁসির আদেশ দেন। রাজসাক্ষী হিসেবে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনাল রায়ে উল্লেখ করেছে, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অভিযোগ প্রমাণিত। শেখ হাসিনাকে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালকে একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল এই মামলার বিচার শুরু করে ১৭ অক্টোবর। মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি ছিলেন।
মামলায় মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, হত্যা ও লাশ পোড়ানো। ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।