শাহিদুল ইসলাম তন্ময়, ঢাকাঃ টি-টোয়েন্টি নিয়ে এত পরিকল্পনা পরিবর্তন কোন কিছুতেই যেন মিলছে ফল। এশিয়া কাপে আগে কোচ থেকে শুরু করে অধিনায়ক সব পরিবর্তন করলেও খুব একটা সফল নয় বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে ভরাডুবি!
তবে দলপতি সাকিবের কন্ঠে ভিন্ন সুর বলছেন একদিনেই মিলবে না ফল দিনে দিনে দিনে পরিনতি হবে টি-টোয়েন্টির জন্য টাইগাররা। সেই পথে নেত্রীত দিতে চাই আসতে আসতে দীর্ঘ সফলতার জন্য তবে এত আমল পরিবর্তনের ফল কিছুটা মিলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব কাপে।
ত্রিদেশীয় সিরিজ সামনে রেখে দেশে চলছে প্যাক্টিস। আইসিসির বেঁধে দেওয়া তারিখের মধ্যে দিতে হলে বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির দল। দলে সাথে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন ছন্দে ফিরার মিশনে।
এ দিন ভিন্ন তরিকায় টিম ডিরেক্টর সুজন ও নতুন করে যুক্ত হওয়া ভারতিয় শ্রীধরণ শ্রীরাম করিয়েছেন প্যাক্টিস ।
টি-টোয়েন্টি আদলেই ব্যাটিং দের দেওয়া হয়েছে নিধারিত বলে কত রান করতে হবে! অন্য দিগে বোলারদের দেওয়া হয়েছে কত রানে বাঁধতে হবে ব্যাটিংদের৷
তবে মাহমুদউল্লাহ থাকছেন কি থাকছেন না, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে দল ঘোষনা পর্যন্ত।
দলে সাথে অনুশীলন করেছেন ৩৫ জন খেলোয়াড়। তবে দলে নির্বাচন এর জন্য নয় পেশার দের বিশ্রাম দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে তাদের। সব ঠিকঠাক থাকলে সোহান, লিটন দলের সাথে যুক্ত হবে, হতে পারে সৌম্ম সরকারও!
১২, ১৩ ও ১৪ তারিখের প্যাক্টিস এর প্রথম দিন শেষে সাংবাদিক দের প্রশ্নের জবাবে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, দেখেন আমরা টি-টোয়েন্টি জন্য পুরো দমে প্রস্তুত হতে চাই শুধু খেলায় না, মানুষিক ভাবেও!
আমরা চাইলেই পাওয়ার হিটিং করতে পারবো না কেউ বিরাট কোহলি বা বাবার আজম হয়ে যাবে না। তবে তাদের কে স্বাধীন ভাবে খেলতে দিলে আফিফও যেমন খেলছে, খেয়াল করবেন বর্তমানে টি-টোয়েন্টি আদলে খেলছে। আরেকটু খেয়াল করবে সাব্বির এশিয়া কাপে যে শর্টটা খেলেছে তা খেলতে গিয়ে যদি আউট হতো তখন মিডিয়া যদি বলতো বাজে শর্ট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছে তখন আমরা প্লেয়ারদের স্বাধীননতা দিলেও কি লাভ? সে তো আর খেলতে পারবে না! তখন সেই বলটাই সিঙ্গেল খেলে পজিশন চেঞ্জ করবে। তাতে লাভ টা হবে কি?
আমরা টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ, নির্বাচকরা যেভাবেও স্বাধীন ভাবে খেলতে বলছি, আপনারও খেলতে দিতে হবে ।
দেখেন বাংলাদেশ রক্ত আমার শরীরে, সাথে গায়ের জার্সিটাও! বাংলাদেশকে কেউ ছোট করে কথা বলবে সেটা আমি কখন মেনে নিবো না আমি পাল্টে উত্তর দিবই ছোট বেলা থেকে আমি ওভাবেই বড় হয়েছি।
তবে মিডিয়াকে বলব আমাদের পাশাপাশি আপনাদেরও দেশের কথা চিন্তা করে খেলয়ারদের পাশে দাড়াতেঁ হবে। কারণ আপনারা সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে টাইগারদের।
আপনাদের হেড লাইন পড়েই একশ মানুষ গালি দিচ্ছে। এখন রিক্সা ওয়ালার ফোন চালায়! ও তো আর ঠিকমত পড়তে পারছে না শুধু হেড লাইন পড়েই গালি দিচ্ছে।
আমি মাঠে কাজ করি আপনারা মিডিয়াতে আমি মনে করি সবার আগে দেশ। তাই দেশের জন্য খেলোয়ারদের পাশে থাকুন।