জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ : তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে গোপালগঞ্জে পুড়ছে পাটখেত। বৈশাখের তপ্ত রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ। এতে পাটের আবাদ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে কৃষকের। পাটের জমিতে ঘন ঘন সেচ দেওয়ায় যেমন বাড়ছে উৎপাদন খরচ, তেমনি প্রচণ্ড খরায় জমির আগাছা পরিষ্কার করতে পারছেন না কৃষকরা। এ অবস্থায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানান, চলতি মাসে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৈশাখ মাসজুড়েই তাপদাহ অব্যাহত থাকবে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অনাবৃষ্টির কারণে পাটখেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পাটগাছ শুকিয়ে বিবর্ণ ও পাতা কুঁচকে গেছে। এ অবস্থায় অনেক কৃষক নষ্ট হওয়া পাটক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছেন না।
কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চাপ্তা গ্রামের গ্রামের কৃষক ওয়াহিদ মিনা বলেন, ‘এ বছর ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। অনাবৃষ্টির কারণে এবার ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে। তারপরও পাট গাছ বাড়ছে না। পাট গাছের বৃদ্ধি দ্রুত না হওয়ায় জমিতে আগাছার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে।’
মুকসুদপুর উপজেলার বরইহাটি গ্রামের পাটচাষি মিরাজ শেখ বলেন, ‘অনাবৃষ্টির কারণে পাট গাছ মরে যাচ্ছে। সপ্তাহে দুই বার সেচ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। এভাবে খরা আরও কিছু দিন হলে পাটে লোকসান গুনতে হবে। এক বিঘা জমিতে এক বার সেচ দিতে ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে।’
কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, ‘অনেকে তপ্ত রোদে পাটের জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এতে ভাল হওয়ার বদলে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর জমিতে সেচ দিতে হবে। তাপদাহে পাট গাছে পোকার উপদ্রব বেড়ে যাবে। ফলে পাটের কচি পাতা কুকড়ে যাবে।’ এ অবস্থায় কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন তিনি।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, ‘এ বছর জেলায় ২৫ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে পাটচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৯ হাজার ২১৪ হেক্টর জমিতে বপন কাজ শেষ হয়েছে এবং অনেক স্থানে পাটের চারা বড় হয়ে গেছে। গত বছর পাটের মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকরা এবার বেশি জমিতে পাট চাষ করেছেন।
‘সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সর্ভিস’
সুন্দরবনে অগ্নিনির্বাপণ অভিযানের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে......বিস্তারিত