প্রতিবেদক: বর্তমান সময়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত একটি টার্ম “মানবিক বিয়ে” হেফাজত ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তিনি মানবিক কারনে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন। এমনই এক মানবিক বিয়ের ঘটনা ঘটিয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা। নাম জুনায়েদ হোসেন নাহিদ। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে বিবাহিত হলে সদস্যপদে থাকার কোন সুযোগ না থাকলেও পরপর ২ টি বিয়ে করেও ঢাকা মহানগর উত্তর এর অন্তর্গত পল্লবী থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। এমনকি অবৈধভাবে বিয়ে ছাড়াও সংসার করেছেন বলেও এলাকায় গুনজন রটেছে।
ছাত্র না হয়েও ইট, বালু, সিমেন্টের ব্যাবসায়ীকে কেন ছাত্রলীগের পদ দেওয়া হল তার সদুত্তর দিতে পারেননি ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল কেউ-ই।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই থানার আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জাকির হোসেন নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার তদবিরেই মূলত পদে আসেন জুনায়েদ নাহিদ। তার বিরুদ্ধে মাদক ও নারী কেলেঙ্কারীর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কয়েকটি ঘটনায় মামলাও হয়েছে। প্রথম স্ত্রীর সাথে সংসার করা অবস্থাতেই উর্মী নামের এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নাহিদ, সেই জেরে ভেঙ্গে যায় উর্মী ও জামানের সংসার। তাদের ৭ বছর বয়সী হামজা নামে একটি পুত্র-সন্তানও রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে পরবর্তীতে নাহিদ তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে উর্মীর সাথে অবৈধ যৌনসম্পর্ক চালিয়ে যায়। বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের আপত্তিকর কিছু ছবিও ভাইরাল হয়।
এর পরেও ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি কিভাবে থাকেন সে ব্যাপারে ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
নাহিদের পিতা আবুল হাশেম এক সময় মিরপুর ৭ নম্বরে চাঁদাবাজী করতো, এখন তিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সেজেছেন। এলাকায় কেউ ভবন নির্মাণ করতে চাইলে নাহিদ ও তার পিতা জোর করে তাদের কাছ থেকে ইট, বালু, রড ও সিমেন্ট নিতে বাধ্য করায় বেশি দামে, চাঁদাবাজীর এ এক আধুনিক ভার্সন।
এই ব্যবসা চালু রাখতে নাহিদ কিছুদিন যুবলীগের পল্লবী থানার সভাপতি ও তাইজুল ইসলাম বাপ্পীর স্নেহধন্য হবার চেস্টা করে ব্যানার পোস্টারে যুবলীগের কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রচার করতে থাকেন। কিন্তু সেখানে পদ পদবী না পেয়ে টাকা দিয়ে পোস্ট কিনেন ছাত্রলীগের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (ছদ্মনাম) পিয়াস বলেন পল্লবী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা জাকির হোসেন ওরপে কালা জাকিরকে দিয়েছেন। যদিও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রতিটি থানায় ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।
এর আগে রূপনগর থানা ছাত্রলীগের কমিটি বানিজ্য, ছাত্রদলের ক্যাডার দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন। বিবাহিতরাও পদের সারিতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রূপনগর থানা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে তুমুলভাবে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিলো। রূপনগর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ হোসেন মিঠুও বিবাহিত পানি ছাড়া লবন দিয়ে ধুয়েছেন ছাত্রলীগের অভিমানী কর্মিরা। এমন বিতর্কিত যেন না হয় পল্লবী থানা ছাত্রলীগের আগামী কমিটি, এই প্রত্যাশা করেন ত্যাগি ও অবহেলিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে একাধিক নারীর আস্থাভাজন ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ বলেন আমার বিরুদ্ধে এগুলো অপ্রচার করছে। ছবির বিষয়ে বলেন সে আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড মাঝে মধ্যে তার সাথে দেখা হত সে তুলা হয়েছে। আমি ছাত্র পড়াশোনা করি। জাকির কাকার কাছে আমার সমস্ত কাগজপত্র দিয়েছি। জাকির কাকা সব জানে।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম এর কাছে জানতে তার ব্যবহারিক মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতে হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
‘রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসায়ী”র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যবসায়ীক ও যুবলীগ নেতা’
নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতে নির্দেশনা অমান্য করে জালিয়াতি মাধ্যমে জমি হাতিয়ে......বিস্তারিত