গরমের উত্তাপ গেল হারিয়ে
এক পশলা বৃষ্টি, টুপটাপ শব্দের খেলায়।
পাশে থাকা কলা গাছ উঁকি দিয়েছে ,
আমার বেলকনিতে সাথে আশ্রয় নিয়েছে
সিক্ত চড়ুই পাখির দল।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা রকমারী সবজিতে ভরা,
ভেনগাড়িওয়ালা কলাপাতা ছিড়ে বানাল ছাতা।
যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা রিকশাওয়ালা,
এদিক ওদিক তাকায় কোথায় গিয়ে দাঁডায়?
ততক্ষনে বৃষ্টিস্নান হয়ে গেছে তার।
ছোটবেলায় ভাবিতাম যদি লটারীতে
জিততে পারি সব রিকশাওয়ালাদের
দেব কিনে রেইনকোট।
সেই আশাতে কিনেছিলাম অনেক লটারী
সুপ্ত বাসনা হল না পূরন কোনদিন।
এর পর দেখি আল্লাহ নবীজির নামে,
বলে বলে কিছু ভিক্ষুক করছিল গড়াগড়ি,
তাদের দেখে হল আরো মায়া,
ভিক্ষার থালাটা , টাকায় ভরিল না,
পরিপূর্ণ হল বৃষ্টির জলে,
এক পশলা বৃষ্টি ক্ষনিকের জন্য,
সকলকে করে দিয়েছে দিকবিদিক শূন্য,
কিন্তু পরক্ষনে রবির কিরনে কলাগাছে,
জমে থাকা জল হীরার মতো করছে চিকচিক,
সাথে বেড়েছে সজীবতা।
চড়ুইরা গা ঝাড়া দিয়ে নিজোকে উড়িয়েছে গগনের দিকে।
সবাই যার যার কাজে হয়ে গেল ব্যস্ত।
প্রকৃতি দিয়েছে আমাদের শিক্ষা,
এক পশলা বৃষ্টি জীবনের
গতিকে করেছে মন্থর, রোধ নয়।
তেমনি আচমকা আসা বিপদ,
সামনে চলার পথে সৃষ্টি করিবে প্রতিবন্ধকতা,
তবু এগিয়ে যেতে হবে আপন
মনোবল আর দৃঢ়তার সাথে বলীয়ান হয়ে,
তবেই কন্টকময় নয়, লাগিবে মধুময় জীবনের পথ।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত